1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

সাওয়াল পীরে হচ্ছে প্রকাশ্যে সেজদা!

  • Update Time : মঙ্গলবার, মার্চ ৯, ২০২১
সেজদারত অবস্থায় ভক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক :  সেজদার একমাত্র মালিক বা হকদার মহান আল্লাহ তাআলা। তা জেনেও কথিত সাওয়াল পীরে হচ্ছে প্রকাশ্যে সেজদা। এখানে ধর্মের নামে চলছে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা। মাজারে সেজদা করে ধর্মকে করছে কুলশিত।
হবিগঞ্জ জেলার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়- শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের পূর্ব দিক হতে সোজা উত্তরে জামিয়া মাদানিয়া সৈয়দা ধন বিবি দাউদনগর মাদ্রাসার গা ঘেঁষে অবস্থিত কথিত সাওয়াল পীর দরবার শরীফ।
এ দরবার বেশ খ্যাত চিনি শাহ মাজার নামে। সরেজমিনে সাওয়াল পীর মাজারে গিয়ে দেখা যায় একশ্রেণির শুভাকাঙ্ক্ষী ও মাজারের পুজারি ও ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে, শ্রদ্ধার নামে মাজারে সেজদা করছে। আবার অনেকে মাজারে সেজদায় লুটিয়ে পড়ছে।
সেথায় মহিলাদের সমাগম বেশ ভাল। মাজারটির বাবাকে ঘিরে সেজদা সহ নানা কুকীর্তির জন্ম দিয়েছে চিনি শাহ দরবারে। উল্লেখ্য যে, মাজারের পিছনে চিনি ফেলে নষ্ট বা অপচয় করা হচ্ছে শত শত কেজির চিনি। সঙ্গে দুধ, কলা ও জিলাপি। যেকোনো একটি নিয়ত পূরণাত্রে গাছে বাঁধা হচ্ছে সূতা ও ছোট আকারের কলস।
চিনি ও দুধ কলা
এ দরবারে বেপর্দায় চলাফেরা করা নারী পুরুষদের যেন খুব একটা সাধারণ ব্যাপার। তাছাড়া হিন্দু ধর্মসহ ইসলাম ধর্মের সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান না থাকা ব্যক্তিরাই অজ্ঞতাবসত অনেকে সেজদা করে যাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের কাছে কথা বললে- তারা জানান অনেকে’ই হেদায়েত পাচ্ছেন কথিত খাদেম ও চিনি বাবা থেকে। যদিও হিন্দু ধর্মলম্বীরা মাজারে সেজদা, বাতি জ্বালানো, চিনি দেওয়া ও যিয়ারতে সমস্যা নেই। তবুও তাদের কাছ থেকে এ সংস্কৃতি শিখে নিচ্ছে সাধারণ মুসলিমেরা।
মনের আশা পূরণের লক্ষ্যে কলস বাঁধা
এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, পূর্বকাল থেকে’ই শুনে এসেছেন কথিত সাওয়াল পীরের কুকীর্তির কথা। তিনি দাবি করেন- এরা ভন্ড, মাজার পূজারী ও ইয়াহুদীদের পাচাটা গোলাম। এদের সায়েস্তা করা সময়ের একান্ত দাবী। পাশাপাশি আলেম সমাজ ,আম জনতা ও প্রশাসন সহ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিজেদের ঈমানী দায়িত্বের পরিচয় বহন করবে।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category