1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ল্যাব উদ্বোধন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব

  • Update Time : সোমবার, জানুয়ারি ৩, ২০২২
৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলােচনা সভা ও ল্যাব উদ্বোধন এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব। ৩ জানুয়ারি রোজ সোমবার ২০২২ইং তারিখে ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠান উৎযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, বিজেন ব্যানার্জী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), হবিগঞ্জ। সম্মানিত উপদেষ্ঠা, উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, মােঃ রফিকুল আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), হবিগঞ্জ। ও সম্মানিত উপদেষ্ঠা, উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব। বিশেষ অতিথি,জনাব সাঈদ মােঃ ইব্রাহিম সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হবিগঞ্জ। বিশেষ অতিথি,জনাব মােঃ জাকারিয়া মিয়া, গবেষণা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়, হবিগঞ্জ। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব, মােঃ রুহুল্লাহ্ জেলা শিক্ষা অফিসার, হবিগঞ্জ ও সম্মানিত উপদেষ্ঠা, হবিগঞ্জ উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব।
এছাড়াও উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সচিব জনাব, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সহ উক্ত বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি জনাব, মতিয়র রহমান, সহ সভাপতি জনাব, মোঃ শাজাহান কবির, সহ সভাপতি জনাব, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহ সভাপতি জনাব, ওয়াকিল আহমেদ, সহ সভাপতি জনাব, তাহমিনা আক্তার এবং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব,মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার, প্রধান কোর্ডিনেটর জনাব, সুকান্ত শার্মা বিপ্লব সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী এবং ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমে অতিথিদের আসন গ্রহন ও ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম জানাই উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যরা। পরে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ সহ অতিথিরা কেক কেটে ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উদযাপনসহ ফিতা কেটে ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।
ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরনা মূলক বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দরা। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) হবিগঞ্জ, জনাব মোঃ রফিকুল আলম মহোদয় বলেন, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তিই পারে সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সভ্যতাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে। এবং চিন্তাভাবনা ও গবেষণা নিয়ে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের সকল উদ্ভাবকদের উপদেশ মুলক অনেক কথা বলেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব,মোহাম্মদ রুহুল্লাহ্ মহোদয় বলেন, একটি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণশীল বিকাশ নির্ভর করে রাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্ভাবনী শক্তির ওপর। কারণ উদ্ভাবনী শক্তি ব্যক্তিসত্তার মাধ্যমে সামগ্রিক সত্তাকে প্রভাবিত করে। ফলে এক সময় সেটি রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়। এই উদ্ভাবনী শক্তির ভিত্তি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশেষায়িত মানুষ পর্যন্ত হতে পারে। যেমন রাষ্ট্রের যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান আছে তা নিয়ে মানুষ যাতে ভাবতে পারে এ ধরনের পরিবেশ কেবল উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির ক্ষেত্র তৈরি করার মাধ্যমে সম্ভব। তরুণ প্রজন্ম আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাদের বুদ্ধিমত্তা ও আইডিয়া দেশকে সমৃদ্ধ করবে। আমাদের নতুন পথ দেখাবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। নতুন আইডিয়া ছাড়া কোনো দেশ এগোতে পারে না। তাই শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে তরুণদের নতুন নতুন আইডিয়া বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করতে সরকার কাজ করছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে। আর আমি মনে করি হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব হবিগঞ্জ জেলা সহ সারা বাংলাদেশের বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাবে আমি এই দোয়াই করি।
বিশেষ অতিথি,জনাব মােঃ জাকারিয়া মিয়া, গবেষণা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়, হবিগঞ্জ বলেন, আমি যখন নতুন হবিগঞ্জে আসি সেই সময় থেকে চিন্তা ছিলো জেলায় বিজ্ঞান মেলা করার। বর্তমান সরকার বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্লাবকে নিয়ে কুইজ অলিম্পিয়াড, বঙ্গবন্ধু সাইন্স অলিম্পিয়াড, রােবটিক্স অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযােগিতা, বিজ্ঞান বক্তৃতা, আইডিয়া শেয়ারিং ক্যাম্প, স্কুল রােবটিক্স ক্যাম্প, স্কুল প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা, কোডিং অলিম্পিয়াড ইত্যাদি বাস্তবায়ন করতে জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও আইসিটি শিক্ষকদের সহযােগিতার জন্য নির্দেশ দিবেন।
বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি জনাব, মতিয়র রহমান বলেন, বর্তমানে যারা প্রাথমিক – মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে ২০৪১ সালে তারাই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দিবে। আজকের শিশু প্রজন্মকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলবো, ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা অনুকরণ করে নয়, উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বড় করতে চাই। নতুন ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব ‘ ২০১৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরও শিকক্ষদের নিয়ে কাজ করছে.. যেটি হবে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ ” চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ নেতা তৈরি করার জন্য একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান।
আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমরা চাইছি বাংলাদেশে নতুন নতুন চিন্তা করার সংস্কৃতি তৈরি হোক। নতুন নতুন উদ্ভাবন বের হয়ে আসুক। কেননা, উদ্ভাবনী চিন্তা ও কাজের সমন্বয় হলেই কেবল যেকোনো কাজের সফলতা আসে।
আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো সারা বাংলাদেশে তরুণদের মাঝে উদ্ভাবনী চিন্তার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। প্রতিটি ভালো কাজের পেছনে ইনোভেশন জড়িত। আমাদের তরুণদের একটা ইনোভেশন যদি ক্লিক করে তবে আমাদের দেশ হয়তো সেটাতেই সুনাম অর্জন করতে পারে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইনোভেশন কালচার ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে এখন যে তরুণরা কাজ করছে তারাই পরবর্তী সময়ে মেন্টর হচ্ছে। এই মেন্টররা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তরুণদের উদ্ভাবনী আইডিয়া জাগ্রত করতে কাজ করবে। বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে উঠবেই ইনশাআল্লাহ।
ক্লাবের সহ সভাপতি গন সহ কার্যকরী মেম্বার গন আরো বলেন-উন্নয়নের মূলে রয়েছে মানুষ। তাই পল্লী উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে মানুষকেই এবং উন্নয়ন ঘটাবে মানুষ। অতএব দেশে যত রকমের বস্তুসম্পদ এবং সম্ভাবনা থাকুক না কেন যতক্ষণ মানুষ এ সম্পদ আহরণ এবং ব্যবহার উপযােগী করতে না পারবে ততক্ষণ আমরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত থাকবাে। তাই দেশের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।তাই উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব হবিগঞ্জ জেলায় প্রতিটি স্কুলে একটি করে বিজ্ঞান ক্লাব স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব। এরই সাথে জেলার সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক প্লাটফর্মে যুক্ত করে বিজ্ঞানমনস্ক হবিগঞ্জ জেলা গঠনে ভূমিকা রাখতে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব জেলা প্রশাসক মহােদয়ের সহযােগিতায় বিজ্ঞানের জনপ্রিয় নানা মূখী-ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ অলিম্পিয়াড এ প্রশিক্ষণের আয়ােজন করতে চায়।
হবিগঞ্জ জেলাকে বিজ্ঞানের শহর হিসেবে পরিচিতি ঘটাতে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্লাবকে নিয়ে কুইজ অলিম্পিয়াড, বঙ্গবন্ধু সাইন্স অলিম্পিয়াড, রােবটিক্স অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযােগিতা, বিজ্ঞান বক্তৃতা, আইডিয়া শেয়ারিং ক্যাম্প, স্কুল রােবটিক্স ক্যাম্প, স্কুল প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা, কোডিং অলিম্পিয়াড ইত্যাদি বাস্তবায়ন করতে জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও আইসিটি শিক্ষকদের সহযােগিতার জন্য নির্দেশ দিবেন।
এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে উদ্ভাবক ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও বিজ্ঞান মনস্ক জাতি নিশ্চিত করতে নানা মূখি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ২০১৯ থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়নের বর্তমানেও নানামুখী ইভেন্ট ও প্রযুক্তি শিক্ষা উপর ফ্রী স্কুল রোবটিক্স ক্যাম্প ২০২২ চলমান।
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু সাইন্স অলিম্পিয়াড ২০২১ বাস্তবায়ন করছে। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সর্বশেষ অতিথি গন সকলেই ক্লাবেটিক উওর উওর উন্নয়ন কামনা করেন এবং বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগির মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category