April 19, 2024, 10:32 am
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সাবিত আল হাসান’ ডুবির ঘটনায় ধাক্কা দেয়া ঘাতক কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ এর রং বদলে ফেলা হয়েছে। তবে জাহাজটির সামনের অংশের বাংলা ও ইংরেজিতে ‘এসকেএল-৩’ লিখাটি এখনো রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর-২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া নয়ানগর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড।
রং বদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার বজলুর রহমান।
তিনি জাগো নিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পরই জাহাজটি আশপাশের কোনো একটি ডকইয়ার্ডে উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে রং বদল করে পরবর্তীতে আবার নদীতে নামানো হয়। বৃহস্পতিবার জাহাজটি নদীতে ভাসতে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরিচয় লুকাতে জাহাজের রং বদল করায় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে সে জাহাজটির বেশির ভাগ অংশে নীল রং থাকলেও বর্তমানে সে নীলের স্থলে ধূসর রং করা হয়েছে। তবে জাহাজটির বিভিন্ন অংশে প্রলেপ দেয়া ধূসর রংয়ের মাঝেও আগের নীল রংয়ের চিহ্ন দেখা যায়।
বদলে ফেলা হয় ঘাতক এসকেএল-৩ জাহাজের রং
একই সঙ্গে জাহাজের সামনের অংশে নামের নিচের এম-০১-২৬৪৩ লেখাটি ছিল।
তবে আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযানকারী দল। লঞ্চ দুর্ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার কার্গো জাহাজটি আটক করা হয়। এসময় আটক করা হয় জাহাজের ১৪ কর্মচারীকেও। তবে তাদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সার্বিক বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান অভিযানকারী দলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় এম এল সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি। এতে মোট ৩৫ জনের মৃত্যু হয়।