1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

কৈশোর-তারুণ্যের যৌনাচরণ (বিকৃত যৌনাচার-১)

  • Update Time : মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১২, ২০২১

বাংলাদেশের কৈশোর-তারুণ্য এক ভয়াবহ যৌন বিকৃতির পাকে খাবি খাচ্ছে। ভাই বোনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে—এই বিষয়টি আর এড়িয়ে যাওয়ার পর্যায়ে নেই।

পত্রিকা ও ফেইসবুক পড়ে জানতে পারলাম যৌনাচার দুই রকম- বিকৃত আর স্বীকৃত!একটা মেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মারা গেছে কারণ এটা বিকৃত যৌনাচার ছিল। মেয়েটা যদি মারা না যেত তাহলে এটাই হতো স্বীকৃত যৌনাচার। ঠিক কিনা বলেন?ডিটেইলস এ না গিয়ে বলি এই ছেলে মেয়েরা যা করেছে পর্ণ মুভিতে এসবই দেখায়। আর পর্ণ বানায় কারা? মানবতার কান্ডারি পরিচয় দেয় যারা তারাই মূলত পর্ণ বানায়। কয়েকটা দেশের প্রধান আয়ের মধ্যে পর্ণোগ্রাফী অন্যতম হয়ে গেছে! অনেক দেশের প্রধান আয় তো সেক্স টুরিজম। এই সেক্স টুরিজমকে প্রমোট করতে গিয়ে তাদেরকে মানুষকে পর্ণে আসক্ত করতে হয়। আর পর্ণে আসক্ত করতে হলে এইসব ‘বিকৃত’ যৌনাচারের প্রচার করতে হয়। প্রতি ৬ টি ওয়েবসাইটের মধ্যে ১ টি ওয়েবসাইট পর্ণ রিলেটেড। শুধু তাই নয় ডার্ক ওয়েবে শিশু পর্ণোগ্রাফি, ধর্ষণ সবই চলে!সুতরাং আমাদের পত্রিকাওয়ালাদের মতে যেটা বিকৃত যৌনাচার অনেক দেশের সরকারই প্রমোট করে থাকে।

আস্তিকদের চোখে সমকাম করা হারাম নিষিদ্ধ ও বিকৃত মানসিকতার। কিন্তু নাস্তিকদের চোখে এটা স্বীকৃত। মুসলিমদের দেশগুলো সহ অনেক দেশে সমকামীদের খুবই খারাপ চোখে দেখা হলেও পশ্চিমা সমাজে সমকামীদেরকে খুব স্বাভাবিক চোখেই দেখা হয়। অনেক দেশ তো সমকামীদের বিয়েকে অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ আপনি যাকে বিকৃত বলছেন সেটা উন্নত দেশগুলোতে স্বীকৃত। তারা বরং আমাদের দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছে সমকামী বিয়ের অনুমোদন দেয়ার জন্য।

আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার চোখে ১৮ বছর বয়সের নিচে বিয়ে করা উচিৎ না। কম বয়সে বিয়ে করাকেও তারা বিকৃত রুচী বলা শুরু করেছে তবে ১৮ বছরের নিচে কারো সম্পর্ক থাকতেই পারে! ১৩/১৪ বছর বয়সী কোন মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে কোন ভয়ংকর অপরাধ করে ফেলা। এটাকে তারা নাম দিয়েছে Pedophile এটাকে মানসিক রোগ হিসেবে দেখানো হয়েছে।সেই হিসেবে আমাদের নানা দাদা থেকে শুরু করে দুনিয়ার প্রথম পুরুষ সবাই মানসিক রোগী! আমাদের দাদী নানীর বিয়ে হয়েছে ৯ থেকে ১১ বছর বয়সে। আমার শাশুড়ির বিয়ে হয়েছে ৯ বছর বয়সে। তিনি মাশাল্লাহ ১১ সন্তানের জননী। অর্থাৎ আমাদের প্রজন্ম ছাড়া আগের প্রজন্মের সবাই ই বিকৃত মানসিকতার মানুষ ছিলেন!

যার ধর্মীয় জ্ঞান মিনিমাম লেভেলের আছে তারা জানেন বিবাহ বহির্ভুত যেকোন যৌনাচারই বিকৃত। বাংলাদেশের আইন এখানে ভিন্ন কথা বলে।ছেলে মেয়েকে জোর করে যৌনাচার করলে একে বলে ধর্ষণ।আবার ছেলে মেয়ে ইচ্ছা করে যৌনাচার করলে বলে মিউচুয়াল সেক্স। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়ে পল্টি মেরে আইনের আশ্রয় নিলেই এটাকেও বলে ধর্ষণ। অর্থাৎ একই ঘটনা একটা সময়ে মিউচুয়াল থাকে আরেকটা সময়ে ধর্ষণ হয়ে যায়। ইদানিং তো নতুন আইনের কথা শোনা যাচ্ছে-স্ত্রী চাইলে স্বামীর বিরুদ্ধের ধর্ষণের অভিযোগ করতে পারবে!যারা সাজেক কক্সবাজারের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে চাকরি করেন তারাই জানেন কী পরিমান ‘মিউচুয়াল’ দম্পত্তি সেইসব হোটেলে আসেন। আবার কিছুদিন পরে বনিবনা না হলেই এরাই ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের’ অভিযোগ করে। আমিতো কোন মেয়েকে প্রলোভণ দেখিয়ে আজ পর্যন্ত এক কেজি মধুও বেচতে পারলাম না আর এরা কীভাবে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে! তাও ঢাকা থেকে বাসে করে নিয়ে কক্সবাজারের মত একটা জনবহুল জায়গায় বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে। যেখানে সব সময় পুলিশ সহ আইন শৃংখলা বাহিনী গিজগিজ করে! তাও মেয়েটার মাস খানেক পরে মনে হয় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে!আসলে এখানে আইনের একটা ফাক আছে। ব্যাভিচার আর ধর্ষণ এক না। ব্যাভিচারের (মিউচুয়াল) শাস্তি দুই পক্ষকে সমান ভাবে দিতে হবে। আর ধর্ষণের শাস্তি পাবে শুধু ধর্ষক। আমরা ব্যাভিচারের ঘটনাকে ধর্ষণ বলে ২ জন অপরাধীর মধ্যে ১জনকে নিরাপরাধ বানিয়ে ফেলি। অর্থাৎ আকাম করছে দুইজনে মিলে আর দোষ হয় একজনের। যদিও বর্তমান জজ সাহেবরা খুবই স্মার্ট। পুলিশরাও কম যায় না। এ ধরনের অভিযোগ পেলে আর মামলা হলে জজ সাহেব কাউকে ছাড়েন না।কিছুদিন আগে এরকম একটা কেইসের কথা কোন এক পুলিশের ফেইসবুক আইডিতে পড়েছিলাম। মিউচুয়াল সেক্স করার পরে ধর্ষণের অভিযোগ দেয়ার পরে কথিত ধর্ষিতাকেও শাস্তি দেয়া হয়েছে!

সবচেয়ে বড় দোষ দেই কন্যা সন্তানের বাবা মাকে। আমি এর আগেও কয়েকটা পোষ্টে বলেছিলাম আজকে আবারও বলছি। আপনি ৩০ বছর পিছিয়ে আছেন। আপনার মনে রাখতে হবে আপনার কন্যা সন্তান হচ্ছে মুরগী আর আশেপাশের সব ছেলে হলো শিয়াল। আপনি নিজের মেয়েকে কখনোই শিয়ালের কাছে ছেড়ে দিবেন না। আপনি যতই আধুনিক হন না কেন আপনি চাইবেন না আপনার মেয়ের ভিডিও দেখে অন্যেরা মজা নিক। আপনি যতই আধুনিক হন না কেন আপনি চাইবেন না আপনার মেয়ে ধর্ষিত হোক। যে মেয়েটা মারা গেছে তারা বাবা মা চাইলেও আর মেয়েকে ফেরত আনতে পারবে না। আপনাদেরকে তো কিছু বলতে গেলেও বলেন “আপনি আমার মেয়ের পোষাক নিয়ে বলার কে?” আপনি আমার মেয়ে কার সাথে কীভাবে মিশবে তা বলার কে?” আমি আপনার মেয়েকে নিয়ে বলার কেউ না। সুতরাং আপনি আপনার মেয়েকে হারালে বলতে পারবেন না “আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।” আপনার মেয়েকে হেফাজতে রাখার দ্বায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। লেখক:এনসিপি

সম্পর্নূ লেখা লেখকের নিজস্ব অভিমত।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category