1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :
Title :
পসবিদের ২১২৯২০৭৭ টাকা কার পকেটে? প্রধান নিবার্হীর স্বাক্ষরীত কালেকশন সিটে প্রাপ্তী স্বীকার শায়েস্তাগঞ্জ Rapid ICT কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। সাধুহাটি পাকা রাস্তার উদ্বোধন করেছেন নেছার আহমদ এমপি মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন। চীন ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরল ফোনালাপ মোবাইল ডাটার মেয়াদ বেঁধে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়: মোস্তাফা জব্বার মস্কোতে মিলিত হচ্ছেন পুতিন-শি জিনপিং অচিরেই ফেরত আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভ ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

স্বপ্নের ঠিকানায় স্বাচ্ছন্দ্যেই আছেন শায়েস্তাগঞ্জের উপকারভোগীরা।

  • Update Time : মঙ্গলবার, জুলাই ২০, ২০২১

চারপাশে সবুজ ফসলের মাঠ। মাঝখানে সারি সারি রঙিন পাকা দালান। দূর থেকে দেখলেই চোখ জুড়ায়। কাছে গেলে দেখা মিলে অন্যরকম একগ্রামের। সেখানে যারা বাস করেন তাদের ঘর, স্বপ্ন, চাহনী প্রায় একই রকম। তাদের চোখেমুখে লেগে আছে অলীক হাসি।

স্বপ্নপূরণের মোহ এখনো কাটেনি যেন।  সরেজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কেশবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে। এখানে ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের জন্য মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৫টি ঘর নির্মান করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে উপকারভোগীদের মাঝে। প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে ৪ টি নলকূপ। ঘরের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে রোপণ করেছেন বিভিন্ন প্রজাতি গাছের চারা। কেউ কেউ চাষ করছেন সবজিও।
অনিন্দ্যসুন্দর এই গ্রামের মানুষগুলাও সহজ, সরল,সুন্দর। যে কেউ গেলে তারা এগিয়ে আসেন, গল্প শোনান স্বপ্ন পূরনের। এমনই একজন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জাহারা খাতুন (৩০)।
একসময় স্বপ্ন দেখতেন নিজেদের জায়গায় গড়ে তুলবেন পাকা বাড়ি। সে বাড়িতে স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দে বসবাস করবেন তিনি। এজন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রমে স্বামীকে নিয়ে লড়াই করেছেন বিয়ের পর প্রায় এক যুগ। কিন্তু অভাব-অনটনের সংসারে তার সে স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। মুজিববর্ষে জাহারার সেই পাকা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তার ঠাঁই হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কেশবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের রঙিন পাকা ঘরে।
একসময় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার ভাড়া বাড়িই ছিলো জাহারার ঠিকানা।
ভিটেমাটিহীন স্বামী সনজব আলী পেশায় ভ্যান চালক। তার আয়েই চলে ৪ সন্তানসহ তাদের টানাপোড়নের সংসার।
ঘর পেয়ে খুশি জাহারা খাতুন। স্বপ্ন পূরণে নিজের ব্যর্থতার হতাশা মুছে ফেলে এখন তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমনই দৃশ্য। এসময় জাহারা খাতুন বলেন, অন্যের বাড়িতে থাকতে হতো আমাদের। মানুষের অনেক অপমান সহ্য করে চলতে হতো। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আমার ঘর হয়েছে। স্বপ্ন পূরন হয়েছে। এখানে কোন অসুবিধা নাই, সুখেই আছি।
শুধু জাহারাই নয়, তার মতো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন উত্তর বিশাউড়া গ্রামের মিনারা বেগম। কোন ধরনের অসুবিধা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “২ মাস  ধইরা আমরা ইকানো বাস করতাছি কোন  সমস্যা নাই”। তিনি আরও বলেন, “স্বপ্নেও ভাবছিনা পাকা ঘরে থাকমু, প্রধানমন্ত্রীরে ধন্যবাদ”।

এই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুল ইসলাম জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৭০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ টি পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। শীঘ্রই বাকি ঘর গুলোও উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category