March 27, 2023, 2:00 pm
সুশি: Sushi (জাপানী: すし, 寿司, 鮨) হচ্ছে এক প্রকার জাপানী খাবার যা ভিনেগার দেওয়া ভাত (鮨飯 সুশি-মেশি), সামুদ্রিক মাছ ‘নেতা’ (ネタ), সবজি ও নানারকমের ফল দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি জাপানে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
সুশি’র স্বাদ কেমন? বিভিন্ন ধরণের সুশি’র বর্ণনা পাবেন।
বেশ কিছুদিন যাবৎ সুশি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেলেও এর ইতিহাস অনেক পুরোনো।
চতুর্থ শতাব্দীর চীনা অভিধানে এমন একটি অক্ষর পাওয়া যায়, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘ভাত এবং লবণের সাথে মাছের আচার’। মাছটিকে লবণ এবং ভিনেগার দিয়ে রাখা হত এবং ইংরেজিতে এটিকে পিকল্ড ফিশ বলা হয়।
সুশির উৎপত্তি হয়েছিলো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়। প্রথমদিকে মাছকে লবণমিশ্রিত ভাত দিয়ে বটে সুশি বানানো হত। মূল পদ্ধতি একই থাকলেও বর্তমানে এর সাথে নানা রকমের উপাদান যুক্ত হয়েছে।
সুশির প্রস্তুতপ্রণালী
মূলত শৈবাল আর ভাত দিয়ে কাঁচা মাছ মুড়িয়ে সুশি তৈরী করা হয়। এই শৈবালটিকে নোরি বলে। সুশি তৈরীর জন্য প্রথমেই রঙে, স্বাদে অতুলনীয় সবচেয়ে ভালো মানের মাছ বেছে নেয়া হয়। তারপরে মাছটিকে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে ওয়াসাবি বা সয় সস দিয়ে মাখানো হয়। মাছের কাজ শেষ হওয়ার পরে ভাতের অংশের কাজ শুরু হয়। গাঁজনকৃত ভাত দিয়ে তৈরী একটি বিশেষ ধরনের ভিনেগার দিয়ে আঠালো ভাতের অংশটুকুকে আরেকটু ফ্লেভার দেয়া হয় এবং ছোট ছোট করে কাটা মাছের অংশগুলোকে ভাত দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়। সবশেষে এটির উপরে নোরি অর্থাৎ শৈবাল দিয়ে আরেকবার মোড়ানো হয়। তারপর সেটিকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিলেই সুশিগুলো খাওয়ার জন্য প্রস্তুত!
সুশির ধরণ
সুশি বিভিন্ন ধরনেরই হয়ে থাকে। তবে মূল বৈশিষ্ট্যের উপরে ভিত্তি করে এটিকে মোটামুটিভাবে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
১) নিগিরি সুশি
এটিতে ভাতের উপরে টপিং হিসেবে মাছ দেয়া থাকে।
২) মাকি সুশি
এটিতে ভাত দিয়ে মাছ মুড়ানো থাকে এবং পুরো সুশিটিকে শৈবাল দিয়ে মুড়ানো হয়।
৩) উরামাকি সুশি
জাপানি ভাষায় উরা শব্দের অর্থ ‘উলটো’। অর্থাৎ মাকি সুশির উলটো ধরন হচ্ছে উরামাকি সুশি। এটিতে মাছের চারপাশে শৈবাল থাকে এবং তার চারপাশে থাকে ভাত।
৪) তেমাকি সুশি
এটি কোণাকৃতির হয়ে থাকে।
সুশির স্বাদ কেমন?
একবার জাপানে গিয়েছিলাম। জাপানে গেলে তো আর সুশি মিস করা যায় না, তাই একটা নিরীহ গোছের সুশি খেয়েছিলাম। সুশিটি দেখতে ছিলো এরকম,
বলতে পারবেন এটা কোন ধরনের সুশি ছিলো?
সুশির স্বাদের ব্যাপারে যদি বলি, এটা কিছুটা তিতা লেগেছে, কিন্ত পুরোপুরি খাওয়ার পরে বেশ ভালোই লেগেছে। সুশির মূল জিনিষটা হচ্ছে এর ফ্লেভার। যেটির দিক দিয়েও এই সুশিটি বেশ ভালোই ছিলো। যেহেতু অন্য ধরনের সুশি খাইনি, তাই অন্য সুশির সাথে তুলনা করতে পারছি না, তবে এটি আমার কাছে সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে।
লিখছেন:তীর্থঙ্কর শুভ্রাংশু জয়তু, B.S. পদার্থবিদ্যা।