July 4, 2022, 4:12 pm
নতুন করে কোনো গ্রাম প্লাবিত না হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ বুধবার সকাল ছয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সুরমা পয়েন্টেও বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি না নামায় সিলেট নগরসহ ১৩টি উপজেলার বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আজ বুধবার (১৮ মে) সকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। বিপর্যস্ত হয়ে আছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত এলাকায় বাঁধ ও পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়া লোকজন বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও শৌচাগার সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস,ঔষধ জ্বালানি তেলের দোকান পানির নিচে থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের শংকা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বাঁধ ও পাকা রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় মানুষজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট এখন পানির নিচে। বাসাবাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি।
পাউবো সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ. কে. এম. নিলয় পাশা জানান, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। নতুন করে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভাঙ্গনের খবর সংগ্রহ করছেন তারা।
সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতার ব্যাপারে তিনি জানান, নগরীর জলাবদ্ধতার মূল কারণ হচ্ছে ড্রেনেজ সমস্যা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতিতে নগরীর দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্লাবিত এলাকার মানুষজনের মধ্যে আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৪৯ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে আরও বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৪ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট। জেলার ৬০টি ইউনিয়ন কমবেশি প্লাবিত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।