June 8, 2023, 11:35 am
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পড়ান সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ। জানাজার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজার নামাজে বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। তাঁর নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীন ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশ কিছু আইন সংশোধন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।
প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি শর্তে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেছিলেন। সেটি হলো সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে তাঁকে তাঁর (প্রধান বিচারপতি) পূর্ব পদে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। এভাবে তিনি আবার বিচারালয়ে ফেরেন। ১৯৯৫ সালে তিনি অবসরে যান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলটির প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দীন আহমদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ছিলেন খুবই অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে দুই দশক নীরবেই কাটিয়েছেন।