November 30, 2023, 3:27 am
প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে ভুয়া সংবাদ ও ভুয়া ফেসবুক পোস্ট! যা নিচে হুবহু তুলে ধরলাম।
সরকারি নথি চুরি করে আলোচিত সমালোচিত রোজিনার সাংবাদিকতার কিছু উদাহরণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।
“মন্ত্রীর দুর্নীতির কারণেই পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিশ্বব্যাংক” – ২০১১ সালে এমন তথ্য সম্বলিত প্রথম আলোর লিডিং নিউজটি ছিল রোজিনার সাংবাদিকতা পেশায় উত্তরণের টার্নিং পয়েন্ট। অতঃপর পদকে সোনার বদলে লোহার কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে করোনার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও উস্কানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি।
রোজিনা ইসলাম তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০ মাস ধরে পড়ে আছে অক্সিজেন সরবরাহ সামগ্রী। কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে পড়ে আছে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্র ৩০০ ভেন্টিলেটর। অথচ করোনার রোগী হাসপাতালে প্রয়োজনে অক্সিজেন পাচ্ছে না।’
অথচ এখন পর্যন্ত কোন হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের দেখা যায়নি। বিমানবন্দর এবং কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে চিকিৎসা সামগ্রী পড়ে থাকার যে কথা বলা হয়েছে তাতেও সত্য আড়াল করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করছেন রোজিনা ইসলাম। এসবের মধ্যে অনেক সংবাদই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যাচারে ভরপুর। যা শুরু হয়েছে মূলত রোজিনার মাথায় আশীর্বাদের হাত রাখা স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান অন্য দপ্তরে বদলি হওয়ার পর থেকে।
সরকারি কেনাকাটার কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রকল্প পাস করা, চুক্তি করা, বিদেশ থেকে আমদানি, এরপর বণ্টন এসব সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবুও সরকার যত দ্রুত সম্ভব করোনা চিকিৎসা সামগ্রী দ্রুত আমদানি করে দেশের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করেছে। কিন্তু এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে যেভাবে প্রতিবেদন করা হয়েছে তাতে মনে হবে সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাই করেনি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক রোজিনা ইসলামের এমন প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
দুই বার দুটি মন্ত্রণালয় থেকে নথি চুরি করে অবাঞ্চিত হওয়া রোজিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে ঢুকে পড়েন। কক্ষে করোনা টিকার চুক্তি বিষয়ক গোপনীয় নথিপত্রের ছবি তুলে কিছু ফাইল ফাইল ব্যাগে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে লুকান। নথিগুলো স্পর্শকাতর ও জনসম্মুখে প্রকাশ করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বিশ্বজুড়ে টিকার জন্য যে হাহাকার চলছে, সে সময় বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি প্রকাশিত হয়ে গেলে টিকা আমদানি বন্ধ এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়ে যেত বাংলাদেশ। এসব তথ্যের গুরুত্ব সাংবাদিক রোজিনা জানতেন। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ প্রমাণ করাই ছিল একটি মহলের উদ্দেশ্য ছিল। আর সেই গোষ্ঠীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন রোজিনা।
একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা প্রথম আলো দীর্ঘ সময় ধরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। হলুদ সাংবাদিক তাসনিম খলিল, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ফটোগ্রাফার শহিদুল ইসলাম, ড. কামাল হোসেন ও তার জামাতা ডেভিড বার্গম্যান প্রমুখদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও তাদের উদ্দেশ্য কারও অজানা নয়। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠেছে কার স্বার্থে রোজিনা এমন দুঃসাহসিক চুরির কাজটি করতে গেলেন?
রোজিনা কোনো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির হয়ে নথি চুরি করতে গিয়েছিলেন? তিনি কি মোটা অংকের বিনিময়ে কোনো কোম্পানির স্বার্থ উদ্ধার করতে সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিলেন? নাকি বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করতে চেয়েছিলেন? এতে কি আইএসআই ও তারেক রহমানের সংযোগ থাকা উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ আছে?
দেশের গোপন নথি চুরি সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা যুক্ত আছেন এতে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই রোজিনার সাথে কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে রোজিনার যত কালো অধ্যায়!