মুহিন শিপন: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার নছরতপুর গ্রামে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম। জানা যায়, উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামের আব্দুল হাই এর পুত্র খোকন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মো. সফিক মিয়ার স্কুলপড়–য়া মেয়ের বিয়ে আজ। মেয়ের বিয়ের সকল আয়োজন শেষ করেছিলেন সফিক মিয়া। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহের সংবাদ জানতে পারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় মেয়ের বাবা সফিক মিয়া মুচলেকা দিয়ে জেল-জরিমানা থেকে রক্ষা পেলেও মেয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেবেন না এই অঙ্গীকার করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাদ্দাম হোসেন ,শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, এসআই মো: মফিজুল হক, এএসআই মো: জসিম উদ্দিন ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জায়েদ বলেন, ‘ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর না হলে বিয়ে দেওয়া আইনগত অপরাধ। অপ্রাপ্ত বয়সের একটি মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে আমরা আইন অনুযায়ী সেটি বন্ধ করেছি।
ওসি অজয় চন্দ্র দেব উপস্থিত লোকজনকে বাল্য বিবাহ রোধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান ও ধন্যবাদ জানান।