November 29, 2023, 11:34 am
মুহিন শিপনঃ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার খোয়াই নদীতে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবৈধভাবে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই উপজেলার খোয়াই নদীর নতুনব্রীজ থেকে জগতপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পন্থায় মাছ ধরা হয়। এ বছরও প্রায় ১২০ টি স্থানে নদীর দুই পাশের জায়গা দখল করে মাছ ধরা হচ্ছে। চারদিকে বাঁশ পুঁতে মাঝখানে গাছের ডালপালা ফেলে ওই স্থানে খাবার দিয়ে মা মাছসহ পোনা জড়ো করা হয়। পরে জাল দিয়ে চারদিক ঘিরে ফেলে মাছ শিকার করা হয়। ছোট ছিদ্রযুক্ত এসব জালে মা ও পোনা মাছসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে।
প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের প্রায় শতাধিক স্থানে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। নদের কোথাও তীরবর্তী, কোথাও কোথাও মাঝ–নদে ডালপালা, বাঁশ ফেলে ঘের তৈরি করা হয়েছে।
লস্করপুর এলাকার একজন মৎস্যজীবী জানান, উন্মুক্ত নদে একসময় অনেক মাছ ছিল। নদে প্রচুর মাছ ধরা পড়ত। কিন্তু পাঁচ-ছয় বছর ধরে নদে ঠিকমতো নামতে পারেন না তাঁরা। যেখানে-সেখানে ঘের তৈরি করায় ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর শতাধিক স্থানে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। নদের কোথাও তীরবর্তী, কোথাও কোথাও মাঝ–নদীতে ডালপালা, বাঁশ ফেলে ঘের তৈরি করা হয়েছে।
এসময় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরানবাজার এলাকায় ঘের দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন একদল জেলে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমরা দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নদীতে মাছ শিকার করি। আমরা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে একজন ঘের মালিক জানান,‘এলাকার অনেকেই ঘের তৈরি করে মাছ ধরে। আমিও তাই ঘের তৈরি করেছি। প্রশাসন থেকেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ঘের দিয়ে মাছ শিকার মৎস্য আইনে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। আমরা তাদেরকে মাইকিং করে সতর্ক করবো। সতর্ক না হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অভিযানে নামবো ।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবগত না। কিছুদিন আগে নদীতে বাধঁ দিয়ে মাছ শিকার করায় একজনকে জরিমানা করেছি। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করবো।