1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

মাথার চুল ঝরে যাওয়ার এ রোগ কেন হয়, লক্ষণ কী

  • Update Time : বুধবার, মার্চ ৩০, ২০২২
অস্কার জেতার পর স্ত্রী জেডা পিঙ্কেট স্মিথের সাথে উইল স্মিথ তার স্ত্রী অ্যালোপেসিয়া অসুখে ভুগছেন

স্ত্রী অভিনেত্রী জেডা পিঙ্কেট স্মিথের যে রোগ নিয়ে মস্করা করায় অস্কার মঞ্চে উপস্থাপক ক্রিস রকের মুখে চড় কষিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধিয়ে বসেছেন উইল স্মিথ, সে অসুখের নাম অ্যালোপেসিয়া।

মি. স্মিথ এ বছরের অস্কার আসরে সেরা অভিনেতার পুরষ্কার জিতেছেন।

অ্যালোপেসিয়া রোগের কারণে জেডা পিঙ্কেট স্মিথ নিজের মাথা প্রায় কামিয়ে রাখছেন কয়েক বছর হলো, এ রোগের কথা তিনি প্রথম জানিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

এক ফেসবুক আলোচনায় তিনি সেসময় বলেছিলেন, অ্যালোপেসিয়া নামে এক রোগের কারণে তার মাথার চুল সব পড়ে যাচ্ছে, এবং সে কারণে তখন থেকে তিনি চুল ছোট করে রাখেন।

কিন্তু এই অ্যালোপেসিয়া রোগটি কী আর কিভাবে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে?

অ্যালোপেসিয়া কী?

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস বলছে, সাধারণভাবে মাথার চুল পড়ে যাওয়াকে চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলে।

সত্তর বছর বয়সী নারীদের অন্তত ৪০ শতাংশ এ রোগে ভোগেন যাতে দেখা যায় তাদের মাথার সামনের অংশের চুল পাতলা হয়ে গেছে।

এনএইচএস বলছে, দৈনিক যে হারে চুল পড়া স্বাভাবিক, তার চেয়ে বেশি চুল পড়ে গেলে এবং একই অনুপাতে নতুন চুল না গজালে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলা হয়।

দৈনিক ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক বলে বর্ণনা করছে এনএইচএস।

কিন্তু চুল পড়ার পর নতুন চুল না গজালে মাথার বিভিন্ন জায়গায় বা সম্পূর্ণভাবে টাক পড়ে যেতে পারে। সেটিও এ রোগের কারণেই হয়।

এই মূহুর্তে বিশ্বে প্রায় ১৪ কোটিরও বেশি মানুষের অ্যালোপেসিয়া অর্থাৎ পূর্ণ অথবা আংশিক টাক রয়েছে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে এরকম অ্যালোপেসিয়া বেশি দেখা যায়

কী দেখলে বুঝবেন অ্যালোপেসিয়া হয়েছে?

সাধারণত মাথার চুল পড়তে শুরু করে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে।

এক্ষেত্রে একেকজনের একেক সময়ে সেটি শুরু হয়। চুল পড়ার ধরনও হয় প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা, কারও বেশি, কারও কম।

কিন্তু অ্যালোপেসিয়া হলে স্বাস্থ্যবান লোকের মাথা বা শরীরের চুল হঠাৎ পড়ে যেতে শুরু করে এবং ধারাবাহিকভাবে পড়তে থাকে।

কখনো একটি নির্দিষ্ট জায়গার চুল পড়ে, কখনো আবার পুরো মাথা থেকে সব চুল পড়ে যায়।

কখনো বা ভুরু বা চোখের পাপড়িসহ সারা শরীরের লোমও পড়ে যায়।

যেকোন বয়সের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এ রোগের শিকার হতে পারেন, এমনকি শিশুদেরও হতে পারে।

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা আখতার বলছেন, অ্যালোপেসিয়ার বিভিন্ন ধরন আছে।

সে কারণে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দেয়া দেয়, একেকজনের জন্য সেটি একেক রকম হতে পারে।

তিনি বলেন, হঠাৎ যদি লক্ষ্য করেন তার চিরুনি ভর্তি করে অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়তে শুরু করেছে, বিছানা-বালিশ ভরে যাচ্ছে ঝরে যাওয়া চুলে, মাথায় এক বা একাধিক জায়গায় এক সেন্টিমিটার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার এলাকার চুল একসাথে খালি হয়ে গেছে, কিংবা মাথার সামনের অংশ দ্রুত খালি হচ্ছে – তাহলে তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category