June 8, 2023, 11:41 am
নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য এবং নিজেদের যৌবন ধরে রাখার জন্য প্রায় সকলেই কিছু না কিছু করে। কেউ কসমেটিক্সের সাহায্য নেয় আবার কেউ সার্জারির সাহায্য। অনেকে আবার যোগব্যায়াম, জিম ইত্যাদির মতো শরীরচর্চার মাধ্যমে ধরে রাখতে চায় নিজের যৌবন।
অনেকে আবার নিজেকে বেশি সুন্দর দেখানোর জন্য কসমেটিক বিউটি ট্রিটমেন্টের সাহায্য নেয়। সম্প্রতি কয়েন বেস ক্রিপ্টোকারেন্সির ফাউন্ডার ও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং এই বিষয়ে কাজ করা শুরু করেছেন। তিনি একটি কোম্পানি তৈরি করে যৌবন ধরে রেখে কী ভাবে সবসময় সুন্দর দেখানো যায়, সেই বিষয়ে কাজ করা শুরু করেছেন। ব্রায়ান আর্মস্ট্রং আশা করছেন যে, এর ফলে মানুষের বয়স বাড়লেও তাদের মধ্যে বয়সের কোনও ছাপ পড়বে না।
পুরনো দিনের কাহিনী হামেশাই আমাদের এমন সব চরিত্রের কথা বলে, যাদের এক একজনের ২০০-৩০০ বছর বয়স হয়ে গেলেও তাদের দেখে সেটা বোঝা যায় না, তারা সবসময় নবীন। বিভিন্ন ধরনের জড়িবুটি সম্পর্কেও শোনা যায় যে, সেগুলো ব্যর করলে নিজেদের যৌবন ধরে রাখা যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই সকল জড়িবুটি দিয়ে নয়, ব্রায়ান আর্মস্ট্রং অ্যান্টি এজিং থেরাপি এবং ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এই কাজ করে দেখাতে চান। যার মাধ্যমে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা হয়ে থেকে যাবে।
আমেরিকার ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি কয়েনবেসের ফাউন্ডার ব্রায়ান আর্মস্ট্রং এমন ধরনের একটি প্রক্রিয়ার খোঁজ করছেন যা মানবজাতির কোষের (Human Cell Aging) পুরনো হওয়ার গতিকে ধীর করে দেবে। তিনি নিউলিমিট (NewLimit) বলে একটি কোম্পানি তৈরি করে অ্যান্টি এজিং প্রক্রিয়ার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। এর জন্য তিনি প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে রাজি। তিনি একে বয়স বাড়ার প্রভাবকে ঠিক করার প্রকল্প হিসাবে দেখছে। এর জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের থিওরি নিয়ে রিসার্চ করে চলেছে।
ব্রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের আগে অ্যামাজনের (Amazon) সিইও জেফ বেজোস (Jeff Bezos) এবং রাশিয়ান-ইজরায়েলি ইউরি মিলনার (Yuri Milner) এই অ্যান্টি এজিং বাজারের দুনিয়ায় পা রেখেছেন। এর জন্য একটি বায়োটেকনোলজি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। ২০০৬ সালেই অ্যাল্টোজ ল্যাবের (Altos Labs) তরফে এই অ্যান্টি এজিং প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এই অ্যান্টি এজিং প্রক্রিয়ার দুনিয়ায় পা রাখলেন ব্রায়ান আর্মস্ট্রং।