June 8, 2023, 11:20 am
শুরু করবো পার্ট-১ এর কিছু কথা থেকে, আমারা জানি না যে, দেশের বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসের শেষ কোথায়। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য। অনেক দেশ কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। কিন্তু আবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেকারত্বের দিন কাটাচ্ছে অনেক মানুষ। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বেতন নামিয়ে এনেছে অর্ধাংশে। কিন্তু থেমে নেই কোন কিছুই। আমাদের মৌলিক চাহিদার প্রথম চাহিদা হলো অন্ন। অন্নর জ্বালা সহ্য করার মত ক্ষমতা কয়জনের বা আছে, নেই কারো পক্ষে সম্ভব নয় এই অন্নর জ্বালা সহ্য করা। বাড়ীতে বসে আছেন কোন কাজ নেই একটু ভাবুন দেখবেন আপনার চাহিদা পারিবারের চাহিদা পূরণ করার মত কাজ অনেক আছে। ভাবছেন ব্যবসা করবেন, কিন্তু অর্থের অভাবে তা সম্ভাব হচ্ছে না। ভাবনা থাকলে ও মনে ইচ্ছে থাকলে সব কিছুই সম্ভাব।
চলুন জেনে নিই ব্যবসায় ভাবনার আজকের অংশে কি আছে।
কথায় বলে, একটি সুন্দর উক্তি রত্নের চেয়েও মূল্যবান। একটি চমৎকার অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি দুর্বলকে যোগায় শক্তি, দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল। হতাশা, ব্যর্থতা, গ্লানির তিক্ত অনুভূতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সম্বল হয় একটু আশা, একটুখানি সম্ভাবনার হাতছানি। জীবনের কঠিন সময়গুলোতে মনোবল ধরে রাখতে ও হৃদয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে তুলবে মনিষিদের বিখ্যাত কয়েকটি উক্তি।
হতাশা একটি বিলাসিতা। হতাশার জায়গাটি আজ থেকে দখল করুক কাজ শেষের তৃপ্তিমাখা ক্লান্তি।-Anonymous
তোমার স্বপ্ন আর তোমার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটি জিনিস- সেটি হচ্ছে অজুহাত! যে মুহূর্ত থেকে তুমি নিজেকে অজুহাত দেখানো বন্ধ করে কাজ শুরু করবে সে মুহূর্ত থেকে তোমার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে না- সেটি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করবে!-Jordan Belfort
ঘুমিয়েই কি কেটে যাবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই।-হযরত আলী (রাঃ)
তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে সেটি তো হতে দেওয়া যায় না- পরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়, আমিই তার উদাহরণ!-Derek Jeter
ব্যর্থতা মানে হচ্ছে ব্যর্থতা- কেন হয়েছে কার কারণে হয়েছে সেগুলো কেউ জানতে চাইবে না। তুমি ব্যর্থ হলে তার যন্ত্রণা তোমাকে একদম একাকী সইতে হবে, কেউ তোমার পাশে এসে দাঁড়াবে না। তাই কখনো অজুহাত বানাবে না, অন্যদের সুযোগ দেবে না তোমার জীবনটাকে নিয়ন্ত্রণ করার। জিততে তোমাকে হবেই!-Anonymous
প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।-Chico Xavier
কখনো ভেঙে পড়ো না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে।-Muhammad Ali
আরো জানবো ব্যবসায় সাফল্যের জন্য বিল গেটসের ৭টি উপদেশ
বিল গেইটস এমন একটি নাম যা পৃথিবীর মানুষের নিকট আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি পরিচিত। কেনই বা হবেন না, ফোর্বাসের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি টানা ১৩ বার পৃথিবীর সেরা ধনী ব্যাক্তির খেতাবটি পেয়েছিলেন এবং এখনও তিনি তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিল গেটসের ক্যারিয়ারের শুরুটা সহজ ছিল না। প্রচন্ড অধ্যবসায়ের সাথে অসাধারণ সৃজনশিলতা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আর অক্লান্ত পরিশ্রমের কল্যাণে গড়ে তুলেছেন তার সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য। তার সফলতার স্বরূপটা অবলোকন করলে সবাই একবাক্যে বলতে বাধ্য হবে যে, বিল গেটসই বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে সফল এবং বুদ্ধিমান ব্যাবসায়ী। ব্যবসা শুরু করা থেকে তা টিকিয়ে রাখা পর্যন্ত তার রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। নতুন উদোক্তাদের জন্য তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে ৭টি উপদেশ দিয়েছেন। যা তাদের দূর্গম পথকে অনেকটাই সহজ করে দিবে। আজ আমরা এই ৭টি উপদেশ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।
১. ব্যবসা কয়েকটি নিয়ম ও প্রচুর ঝুঁকির সঙ্গে একটি টাকার খেলা-
জুয়া খেলার সময় কখনই নিশ্চিত হতে পারবেন যে, সেটি জিতবেন নাকি হারবেন। অনুরুপভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলেও লাভ লোকশানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার চলার পথে উৎসাহ ও সাহস ধরে রাখতে পারেন তাহলে আপনি সফল হবেনই। কোন কিছুই আপনাকে আটকাতে পারবে না।
২. সাফল্যের একটি মূল উপাদান হল ধৈর্য্য-
আপনি কোন কিছুই সহজে পাবেন না, এর জন্য ধৈর্য্য সহকারে চেষ্টা ও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। একটি প্রবাদ আছে, There are no shortcuts to success. তাই পরিকল্পনা না করে তড়িৎগতিতে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না।
৩. পৃথিবীর কারো সাথেই নিজেকে তুলনা করবেন না, যদি তা করেন তাহলে আপনি নিজেই নিজেকেই অপমান করছেন-
আমরা বেশিরভাগই হতাশায় ভোগি এই কারনে যে, আমরা অন্যদের মত সফল, সম্পদশালী এবং বুদ্ধিমান না। আপনি চাইলেই বিল গেটস হতে পারবেন না কিন্তু আপনার এটা জানা উচিত যে, সব মানুষ এক রকম নয়, সবারই ইউনিক কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা অন্য কারো থাকে না।
৪. সাফল্য একজন উস্কানি দেওয়া শিক্ষকের মত, যা বুদ্ধিমান লোকদের মাথায় এটি ঢুকায় যে, তারা কখনো র্ব্যথ হবে না-
সফলতা পেলেই অনেকেই নিজেকে আকাশচুম্বি মনে করা শুরু করে। আপনি যদি মনে করেন তাহলে সফলতার মানেই বুঝে না। আপনি সফলতার যত উপরেই উঠুন না কেন কোন সময়ই ভুলবেন না আপনি কোথায় ছিলেন।
৫. আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সর্বোত্তম উৎস-
ব্যবসার শুরুতেই আমরা যদি সমলোচনা বা খারাপ প্রতিক্রিয়া পাই তাহলে আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু যদি আপনি অন্তদৃষ্টি দিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কাস্টমারদের সমালোচনাই আপনার শেখার সর্বোত্তম স্থান।
৬. সাফল্যকে উদযাপন করা ভাল, তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাকে মনে রাখা-
আপনি যকন সফল হবেন তখন সবাই আপনাকে সম্মান করবে, গুরুত্ব দেবেও সাহায্য করতে চাইবে। কিন্তু যখন ব্যর্থতাই পতিত হবেন তখন দেখবেন কেউ আপনাকে চিনবেই না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখবেন। ব্যর্থতা আপনাকে যে শিক্ষা দিবে তা আর কোথাও হতে পাবেন না। তাই সফলতার যত উপরের অবস্থানেই যান না কেন ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলি কখনো ভু্লবেন না।
৭. যদি তুমি নিজের স্বপ্ন গড়তে না পারো, তাহলে অন্য কেউ তার স্বপ্ন গড়তে তোমাকে ভাড়া করবে-
আপনি যে ব্যবসাই শুরু করতে চান না কেন, দেরি না করে আজই নেমে পড়ুন। যত দেরি করবেন আপনার মনোবল ততই কমে যাবে।
ব্যবসা শুরু করার আগে যা জানা প্রয়োজন
ব্যবসা কোন আশ্রম নয়, ব্যবসার প্রথম ও শেষ কথা হল মুনাফা। নিজেকে সত্যের মুখে দাঁড় করান। নতুন ব্যবসা এমন হতে হবে যেন আপনি এটা করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পারেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি যদি ক্রেতা হন তবে আপনি কি আপনার এই সেবা বা পণ্যটি কিনবেন ? একটু পরিসংখ্যান করুন এই পণ্য বা সেবার পেছনে আপনার ব্যয় কত। এজন্য ক্রেতা কি সর্বোচ্চ মূল্য দেবে যাতে আপনি মুনাফা অর্জন করতে পারেন ।আপনি যে ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন এই ব্যবসা টি আগামীতে চলবে কিনা ? আর এই ব্যবসাটি চললেও এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। এসব বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাচাই করে নিন এবং ভবিষ্যতে আপনার পণ্যের বাজার কেমন হবে ভবিষ্যতে আপনার পণ্যটির চাহিদা বাড়বে কিনা সে বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন।
পূর্ব পরিকল্পনাঃ
শুধু ব্যবসা নয় যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই পূর্ব পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যবাসার ধরন কি হবে? প্রতিযোগি কেমন হবে? পুজি কত হবে? ওই ব্যবসা কেমন লাভজনক? ইত্যাদি পরিকল্পনা করে এগুতে হবে।
সঠিক স্থান নির্বাচনঃ
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগলিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে আপনার ব্যবসা কেমন চলবে? সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে, ৩/৪ গ্রামের মানুষ এক সাথে মিলিত হয় এমন জায়গা, বড় বাজার, দৈনিক বাজার এই রকম জায়গা নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া আশে পাশের এলাকায় আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের চাহিদা আছে কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে।
কি ধরনের ব্যবসা করবেনঃ
বর্তমানে অনেক ব্যবসাই বহুল প্রচলিত। হয়ত দেখা যাবে আপনার পছন্দের জায়গায় একই রকম দোকানে ভরপুর। এ রকম হলে হালে পানি পাবেন না। তাই এমন ব্যবসা ব্যতিক্রমি কিন্তু লাভজনক। এই ধরনের ব্যতিক্রমি ব্যবসা করতে পারলে দ্রুত সফল হবেন এবং প্রতিদ্বন্দী ও অনেক কম।
টাকা জোগাড় করুনঃ
আপনি জানেন কি, আপনি যে ধরনের ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন এ ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনার ব্যবসার মূলধন কত লাগবে । এছাড়া প্রথম বছরে আপনার ব্যক্তিগত খরচ সাংসারিক সঞ্চিত টাকা বা চাকরি থেকে আসবে এবং ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন এমন জিনিস গুলো আগে থেকেই পরিষ্কার করে নিন। এমন নয় যে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন এবং পরে চিন্তা করবেন যে টাকা কোথা থেকে আসবে সুতরাং সব আর্থিক উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। তারপর এই আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করুন। কেননা ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে মুনাফা ঠিক মত আসবে কিনা সে সম্পর্কে কোনো গ্যারান্টি নেই তাই আপনি আগে থেকেই তার ব্যাকআপ করে রাখুন।
পরিবারের সহযোগিতা সঙ্গে রাখুনঃ
আপনার ব্যবসায়ের শুরু যেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু হয়, তাই আপনার ব্যবসায়ের রেফারেল বিজনেস হিসেবে কাজ করবে আপনার পণ্য বা সেবা এর গ্রাহক যেন আপনার পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব হয়। অন্যথায় আপনার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবার যেন আপনার পাশে শারীরিক মানসিক ও আর্থিকভাবে থাকে। তবে এমনটি করতে গিয়ে কারোর উপর জোর-জবরদস্তি করবেন না। কেননা ব্যবসার জন্য আপনার পরিবার পাশে না থাকলে আপনি নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।আর এ জন্য পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা শুরু করুন।
ব্যবসার জন্য নাম ঠিক করুনঃ
ব্যবসার জন্য নাম ঠিক করার আগে আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক কারা এ কথাটি মাথায় রাখুন অন্য কোম্পানির নাম নকল করে নামকরণ করবেন না। কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য ওয়েবসাইট থেকে নিশ্চিত হোন আপনার বাবসার নামটি ইতিমধ্যে অন্য কোন কোম্পানি নিবন্ধন করছে কিনা সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন এবং আপনার কোম্পানীর জন্য একটি সহজ সরল নাম রাখুন যে নামটি খুব সহজেই সবাই মনে রাখতে পারবে।
ট্যাক্স এর জন্য আবেদন করুনঃ
ট্যাক্স বা কর্মচারীর পরিচয় নম্বরের জন্য আবেদন করুন । দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আপনার কোম্পানির ওপর ট্যাক্স ধার্য কিনা সেটি দেখে নিন। আর যদি থাকে তাহলে আপনার কোম্পানীর জন্য নিবন্ধন করুন। কেননা ট্যাক্স নিবন্ধন ছাড়া আপনি বছর শেষে ট্যাক্সের টাকা জমা দিতে পারবেন না। তখন নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারেন।এজন্য আপনি ট্যাক্স নাম্বর নিবন্ধন করে নিন।এটা আপনাকে আইনগত সুযোগ সুবিধাও প্রদান করবে।
যাচাই করে দেখুন আপনার কি কি লাইসেন্স প্রয়োজনঃ
ব্যবসা সংক্রান্ত যেসব কাগজ পাতি প্রয়োজন সেগুলো জন্য আবেদন করুন যেমন লোকাল বিজনেস সনদ প্রয়োজন হতে পারে, আমদানি বা রপ্তানি সনদ প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যবসার ধরন ও স্থানভেদে কি কি কাগজ পাতি আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজন, সেগুলো জেনে সে সমস্ত কাগজ পত্রের জন্য আবেদন করুন।
বিজনেস কার্ড তৈরি করুনঃ
নতুন ব্যবসা শুরু করতে হলে অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে জানাতে হবে যে আপনি এই ব্যবসায় আছেন ।এজন্য আপনি বেশি করে আপনার ব্যবসায় এর জন্যে বিজনেস কার্ড তৈরি করে নিন। আর বেশি বেশি করে আপনার খরিদ্দার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দিয়ে দিন যাতে করে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে তাদের কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব খুলুনঃ
এটা আপনার আপনার জন্য ভালো যে আপনি ব্যবসার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন । যেটা আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এর সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না, তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা এবং স্বচ্ছ হিসাব-নিকাশ রাখতে পারবেন। এছাড়া ব্যবসায়িক লেনদেন এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠা করুনঃ
আপনার অফিস বা কাজের নিজস্ব নিয়ম কানুন সময় কর্মচারী থাকলে তাদের দায়িত্ব সুযোগ-সুবিধা সবকিছুই প্রতিষ্ঠা করুন। প্রথম থেকেই যদি নিয়মের মধ্যে চলে যাই তবে ধীরে ধীরে তা আরও উন্নত করা যাবে। সবার উপর সদয় থাকুন নিজের উপর দায়িত্ব নেবেন।প্রথম থেকেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সফল ব্যবসায়ীর সাহায্য নিনঃ
আপনি যে ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে সফল ব্যবসায়ী কাছে সাহায্য নিন তাদের কাছে থেকে আপনি জেনে নিন কিভাবে ব্যবসাটি আপনি শুরু করলে ভাল হয়। কি ভাবে রেজাল্ট পাওয়া যাবে এসব সম্পর্কে জেনে নিন । এছাড়া কোন পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিন এমন কেউ যে সত্যিকারে আপনার সফলতা চাই এবং আপনার জন্য তার সময় আছে পরামর্শ কি বা অন্য সত্য বলে আগে থেকেই আলোচনা করে নিন ।
সবশেষে আমি এ কথা বলব আপনি যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন, তাহলে দেরি না করে আপনার ব্যবসা শুরু করে দিন শুরু।দ্রুতু শুরু করুন তাহলে একসময় সেটা বড় হবেই আর বসে থেকে চিন্তা করতে থাকলে কখনোই আপনার ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হবে না।
থাকতে হবে সততাঃ
ব্যবসা করার জন্য সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসাদুপায় অবলম্বন করে সাময়িকভাবে লাভবান হওয়া গেলেও পরে অনেক মাশুল দিতে হয়। কোন কাষ্টমারের সাথে প্রতারণা করবেন তো সে আর এই জিন্দেগীতেও আপনার দোকানমুখি হবে না। এইভাবে একদিন দেখবেন আপনার ব্যবসা কাষ্টমার শূন্য হয়ে গেছে। প্রতারণা ও ধোকাবাজি শয়তানের কাজ। এ ছাড়া ক্রেতা ঠকিয়ে যত উপার্জন করবেন সবই হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হতে হলে সৎ, নিষ্ঠাবান হতে হবে এবং লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকতে হবে।
হতে হবে ধৈর্য্যশীলঃ
ধৈর্য্য না থাকলে ব্যবসায়ে উন্নতি করা সম্ভব নয়। আজ ব্যবসা শুরু করবেন আর ২/৩ দিন পর কোটি পতি হয়ে যাবেন এই রকম আশা নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ঠিক নয়। অনেকই আছেন অল্পতই হতাশ হয়ে পড়েন। হতাশ না হয়ে ধৈর্য্যের সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ধীরে ধীরে এগুতে হবে।
দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হতে হবেঃ
দৃঢ় মনোবল ছাড়া ব্যবসা করা সম্ভব নয়। লাভ-ক্ষতি এগুলি ব্যবসায়েরই অংশ। কোন করনে ক্ষতির সম্মোখিন হলে তা মেনে নেয়ার মত মানসিকতা থাকতে হবে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উত্থান-পতন আছেই। লোকশানে পড়লে ভেংগে না পড়ে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার নব উদ্যোমে শুরু করতে হবে। আগের ব্যর্থতার কারনগুলি চিহ্নিত করে তার প্রতিকার করতে হবে। বারবার চেষ্টা করলে সাফল্য ধরা দেবেই ইনশাআল্লাহ।
কঠোর পরিশ্রমী হতে হবেঃ
শুধু ব্যবসা নয় যে কোন পেশাতেই পরিশ্রম ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব প্রায়। আপনি পরিশ্রম না করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ব্যবসা করবেন তা হবে না। পরিশ্রম করার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার ও পরিচয় দিতে হবে। আপনার প্রতিদ্বন্দী কারা, তাদের ব্যবসায়ীক নীতি কি? এইসব বুঝে শুনে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে হবে।
পরিশেষে যে বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে, একজন উদ্যোক্তার আরো যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তা হলো আত্নবিশাসী, স্বাধীনচেতা, উদ্যোমী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, ঝুকি গ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি।