March 27, 2023, 4:08 pm
মুহিন শিপন: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন এক প্রেমিক। একই সঙ্গে ওই প্রেমিককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই প্রেমিকের নাম ফয়সল মিয়া (২২)। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাও গ্রামের আসানউল্লার ছেলে। সে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।
এ বিষয়ে ফয়সলের মা রাবেয়া বেগম জানান, ফয়সলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মিরপুর ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল হাইর মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সাথে। ফয়সল এবং লিজা দুইজনই বৃন্দাবন সরকারি কলেজের গনিত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। একই বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে লিজা তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা তার মাকে জানায় এবং ফয়সলকে তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ঘটনার দিন ফয়সলকে লিজার মা জাহানারা বেগম তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় ফয়সলের জিবনে।
শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে লিজার বাড়িতে যান ফয়সল। তখন ফয়সলকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কয়দায় নির্যাতন করেন লিজার স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফয়সলকে কাঠ, মুগুর দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়লে ডাকাত ধরা হয়েছে বলে বাহুবল থানায় খবর দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে ফয়সলের পরিবার তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ বিষয়ে ফয়সলের বাবা আহসানউল্লাহ জানান,মারধরের পর থেকে ফয়সল আমাদের পরিবারের কাউকেই চিনতে পারতেছেনা। সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেছে।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, চোর ধরা পড়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমঘটিত বিষয় শুনে ছেলেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই ঘটনায় ফেইসবুকে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সেখানে দেখাযায় ফয়সলকে তার মাথার পাগড়ী দিয়ে হাত-পা বেধেঁ বেধড়ক পেটাচ্ছে কয়েজন লোক। মারধরের একপর্যায়ে সে কালিমা পাঠ করতে থাকে।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিকরা উদ্বেগ প্রকাশ বলেন, একবিংশ শতাব্দিতে এসে এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর দ্রুত বিচারের দাবী জানাচ্ছি