November 29, 2023, 11:15 am
শিল্প ও বাণিজ্য খাতে অর্জন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি
বাংলাদেশ প্রথম মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারতের সাথে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯ মার্চ, ১৯৭২ সালে দিল্লিতে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির মেয়দ ছিল ২৫ বছর। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ১৮ মার্চ, ১৯৯৭। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে ইন্দিরা গান্ধী।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৬ মে ১৯৭৪ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। বাংলাদেশে ভারত সীমান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তির বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশ ভারতকে বেড়–বারী হস্তান্তর করবে এবং বিনিময়ে বাংলাদেশ পাবে তিনবিঘা করিডোর।
বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি
ভারত সরকার বাংলাদেশের পদ্ম নদীর উজানে পানি প্রত্যাহারের জন্য ভারতের মনোহরপুর নামক স্থানে গঙ্গা নদীতে ১৯৬১ সালে ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ১৯৭৪ সালে এ বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে ১৯৭৫ সালে। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত হতে ১৬.৫ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এখন পর্যন্ত ফারাক্কার ওপর ৫টি ভারত-বাংলাদেশ পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েচে। যথা-
ক) ১৯৭৫ সালে গঙ্গার পানিবন্টন নিয়ে অন্তবর্তীকালীন চুক্তি।
খ) ১৯৭৭ সালে ৫ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি।
গ) ১৯৮২ সালে ২ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি।
ঘ) ১৯৮৫ সালে ৩ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি।
ঙ) ১৯৯৬ সালে ১২ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে স্বাক্ষরিত ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি।
বি:দ্র: ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজশাহী থেকে মরণ ফাঁদ ফারাক্কা অভিমুখে লং মর্চ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বক্ষর করেন সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পাহারিড় জনগণের পক্ষে বা উপজাতিদের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (শন্ত লারমা) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয় ২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ঠন করা হয় ২৭ মে, ১৯৯৮। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা সম্পন্ন।
♦ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় – ৪ অক্টোবর, ১৯৭২।
♦ বাংলাদেশ-ভারত নৌ-ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় – ১ নভেম্বর, ১৯৭২।
♦ বাংলাদেশ NPT চুক্তি স্বক্ষর করে – ৩১ আগস্ট, ১৯৭৯।
♦বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালের ২৪ আক্টোবর ১২৯ তম দেশ হিসাবে পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি – (CTBT) স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ CTBT চুক্তি অনুমোদন করে ৮ মার্চ, ২০০০।
♦ বাংলাদেশ CTBT চুক্তি অনুমোদনকারী বিশে্বর – ২৭তম দেশ।
♦ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সাথে HANA (Humanitarian Assistance Needs Assessment)চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৯৮ সালের আগস্টে।
♦ বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বক্ষরিত হয় – ১২ নভেম্বর , ১৯৯৮।
♦ বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালের ৮ মে ১২৬তম দেশ হিসাবে – স্থল মাইন চুক্তি বা অটোয়া চুক্তি স্বাক্ষর করে।
♦ বাংলাদেশ কিয়োটো প্রটোকল স্বক্ষর করে ২২ অক্টোবর, ২০০১।
♦Extradition Treaty হল – অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি।
♦ ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় – ১৯৭৫ সালে।
♦ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা – ২২ জন (চেয়ারম্যানসহ)।
♦ বাংলাদেশ CTBT চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী – ১২৯তম দেশ।ক
♦ ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা(OIC) এর মূল সনদ গৃহীত হয় Ñ ১৯৭২ সালে।
♦ বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় – ১৯ মার্চ, ১৯৭২।
♦ বাংলাদেশ – ভারত মৈত্রী চুত্কি স্বাক্ষতির হয় – ২৫ বছরের জন্য।
♦ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় – ১৮ মার্চ, ১৯৯৭।
♦ বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষতির হয় – ১২
♦ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মোট বিদেশি বিনিয়োগ লাভ করে ৩,৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বিশ^ব্যাপী বিনিয়োগ করে ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারি শীর্ষদেশ চীন। (বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১৯)
♦ ২০১৮ সালে বিনিয়োগপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশের শীর্ষ খাত বিদ্যুৎ; বিনিয়োগের পরিমাণ ১০১.২ কোটি মার্কিন ডলার। (বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১৯)
♦ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েচে জাহাজ, ওষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী।
♦ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুসারে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ৩১৯৬.৩২ কোটি টাকার রপ্তানি আয় করে বহির্বিশে্ব সুনাম অর্জন করে।
♦ ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ মান পেয়ে বিশ^ সেরা কারখানার মর্যাদা লাভ করে- রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড।