November 29, 2023, 11:48 am
ঝড় ও বৃষ্টির সময় বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় যেমন আতঙ্ক থাকে, সেই সঙ্গে থাকে মৃতদেহ চুরির আতঙ্ক!
মূলত গুজবের বশবর্তী হয়ে এমন করে। অনেকেই মনে করে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির শরীরে মূল্যবান জিনিস তৈরী হয়। তাছাড়া তারা মনে করে যে লোহার ভিতর দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহিত হলে লোহা যেরকম চুম্বকের মতো কাজ করে,তেমনি মানুষের শরীরের ভিতর দিয়েও ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহিত হলে মানুষের বডিও চুম্বকের মতো কাজ করে যা গুজব ছাড়া কিছুই নয়।
তাছাড়া আরও একধরনের রিউমার আছে ঐ লাশ দিয়ে কালো যাদুর কাজে ব্যবহার করা হয়, সে কারণে তারা ঐ লাশের মাথা এবং কাপড় টা চুরি করে থাকে। কিন্তু এটা পুরোটাই অন্ধবিশ্বাস।
আরও পড়ুন:বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তি কি শহীদের মর্যাদা পাবেন?
গ্রাম্য কবিরাজ বা ওঝারা তাদের ঝাড়ফুঁকের কাজের জন্য এই ধরণের মৃতদেহের হাড় বা শরীরের অন্যান্য অংশ দরকার হয় বলে অনেকে মনে করেন এবং এই ধরণের কুসংস্কার থেকেই মৃতদেহ চুরির ধারণাটি চলে আসছে। আসলে ইলেকট্রিক শক খেয়ে মানুষের মৃত্যু হলে মৃতদেহ যেমন হয় বজ্রপাতে মৃত মানুষের মৃতদেহ ঠিক একইরকম হয়। কোনও পার্থক্য থাকে না।
বজ্রপাতে মৃত ব্যাক্তির শরীরের বিশেষ বিশেষ হাড় প্রেত সাধনার কাজে ব্যাবহৃত হয়। যারা এসবে বিশ্বাস করে, তাদের মতে মৃত মানুষের কিছু হাড় দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সাধনা করলে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব। তবে মৃত মানুষের চেয়ে বজ্রপাতে মৃত মানুষের হাড় নাকি এক্ষেত্রে অনেক বেশী কার্যকর।
আরও কিছু ভুল ধারণা মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে । যেখানে বজ্রপাত হয় তার আশে পাশে খনিজ টুকরা পাওয়া যায়। পাহাড়ীরা ঐসব খনিজ টুকরা সংগ্রহ করে রাখে কারণ তাদের বিশ্বাস এই খনিজ পদার্থ ঝাঁড় ফুকে ভালো কাজ দেয়।
বজ্রপাত হলে লাশ চুম্বক হয়ে যায় বলে এলাকায় মানুষের মাঝে একধরনের রিউমার আছে। এ কারণে অনেকসময় মৃতদেহ চুরির আশঙ্কা দেখা যায়।’ কবর থেকে বজ্রপাতে নিহত নারী কিংবা পুরুষের মরদেহের কঙ্কাল চুরি যাওয়ার খবর পত্র-পত্রিকাতে আসে।