1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

প্রাথমিক শিক্ষক থেকে ফ্রিল্যান্সার মাসিক আয় এখন সাত লাখ টাকা

  • Update Time : মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে পুরোদস্তুর পেশা হিসেবে নিয়েছেন মিজানুর রহমান। এখন প্রতি আয় প্রায় সাত লাখ টাকা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুই বছর বেসিস আউটসোর্সিং পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

আর দশজন তরুণের মতো মিজানুরও বিসিএস কর্মকর্তা হতে চেয়েছিলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে স্নাতক (সম্মান) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হয়ে ভালো আয় করলেও পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। পরিবারের চাপে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন মিজানুর। বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেননি মিজানুর। তবে ২০১৮ সালে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যোগ দেন ভোলার উত্তর চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

মিজানুর বলেন, ‘চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কোনো কাজেই ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হলে আরও বেশি ফ্রিল্যান্সিং কাজে যুক্ত হলাম। কিন্তু স্কুল খোলার পর দেখা গেল, একসঙ্গে দুই কাজ সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মিজানুর রহমান বলেন, ক্রাউডফান্ডিং ডেভেলপমেন্ট যেহেতু বাংলাদেশে এখনো সেভাবে প্রচলিত নয়, তাই এ বিষয়ে মানুষকে আরও বেশি জানাতে চাই। এ খাতে কাজের পরিধি অনেক বড়। আর তাই এ খাতে আরও ফ্রিল্যান্সার তৈরির জন্য ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে মিজানুরের। এ ছাড়া ক্রাউডফান্ডিং ডেভেলপমেন্ট সেবা দিতে এজেন্সিও খুলতে চান। ফলে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হতে পারে।

চলার পথে প্রেরণার কন্ডারি যারা

মিজানুর বলেন, ‘আমার মামা সুমন পাটোয়ারীর হাত ধরে আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ে যাত্রা শুরু। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রশিক্ষক আমিন আহমেদ, প্রাইম আইটির শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, বিজকোপের প্রতিষ্ঠাতা নাহিদ হাসান, সফল ফ্রিল্যান্সার সুমন সাহা, শরিফ মোহাম্মদ শাহজাহানসহ অনেকেই আমাকে চলার পথে প্রেরণা জুগিয়েছেন।

মিজানুর জানালেন, শুরুতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিবারের সমর্থন পাননি তিনি। তবে এখন পরিবার তাঁর পাশে রয়েছে।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category