November 29, 2023, 11:06 am
পৃথিবীতে কত ধরনের প্রাণীর বসবাস তা আমাদের আজও অজানা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই সকল অজানা বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তেমনি এক অজানা প্রানী সামুদ্রিক ঘোড়া। সামুদ্রিক ঘোড়া দেখতে সামনের অংশ দেখতে ঘোড়ার মতো ও পেছনে বাঁকানো লেজ ওয়ালা এই প্রাণীটিকে মাছের মতো দেখা না গেলেও এটি সত্যিকারেই একটি অস্থিময় মাছ। লম্বায় প্রায় ১.৫সে. মি. থেকে ৩৫সে. মি. পর্যন্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত ৫০প্রজাতির নামকরণ হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে এরা ১-৫ বছর বাচে।
অস্থিময় মাছ হলেও এদের কোন আঁইশ নেই, তবে অস্থিময় পাতের ওপর পাতলা চামড়ার আবরণ রিং এর মতো সাড়া দেহে আবৃত। প্রতি প্রজাতির জন্য রিং এর সংখ্যা আলাদা। মাথায় মুকুটের(coronet) মতো আছে যা আবার একই প্রজাতির প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্য আলাদা। একটি মাত্র পৃষ্ঠীয় পাখনা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৫বার ঝাপটিয়ে খাড়াভাবে খুব ধীরে চলাচল করে। বাঁকানো লেজের সাহায্যে এরা সামুদ্রিক আগাছা ও শৈবালের সাথে আঁকড়ে থাকে ও আশেপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে গায়ের রঙ পরিবর্তন করে; কখনো কালচে-বাদামি, কখনো ধূসর বা উজ্জ্বল হলদে। এরা এদের চোখ আলাদা ভাবে নাড়তে পারে।
ছেলে-মেয়ে বিবাহের পূর্বে প্রায় ৮ঘণ্টা প্রেম করে ও ভরা পূর্ণিমায় বিবাহ করে। প্রেমিকাকে পাবার জন্য প্রেমিককে কখনো প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে যুদ্ধ করতেও দেখা যায়। একবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে এরা কখনই একে অপরকে ছেড়ে যায় না এবং অসুখে-বিসুখে সাহায্য-সহযোগিতা করে। বিবাহের পর তারা যুগলবন্দী হয়ে চলাফেরা করে।
এটিই একমাত্র প্রাণী যেখানে পুরুষরা বাচ্চা প্রসব করে। বছর জুরে প্রজনন কালে স্ত্রী মাছ পুরুষ মাছের পেটের দিকে অবস্থিত বিশেষ থলেতে ডিম পাড়ে এবং ২-৪মাস গর্ভকালীন সময় শেষে পুরুষ মাছ ৫-১৫০০টি জীবন্ত বাচ্চা প্রসব করে। গর্ভকালীন সময়ে স্ত্রী মাছ প্রতিদিন সকালে একবার করে পুরুষ মাছটিকে দেখতে আসে ও সেবাযত্ন করে যায়। পুরুষরা মূলত রাতেই বাচ্চা প্রসব করে। কারণ, পরবর্তী দিন সকালে যখন স্ত্রী মাছ তাকে দেখতে আসবে তখন যেন নতুন করে ডিম গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে। বাচ্চারা জন্মের পরপরই স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে পারে।