1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :
Title :
পসবিদের ২১২৯২০৭৭ টাকা কার পকেটে? প্রধান নিবার্হীর স্বাক্ষরীত কালেকশন সিটে প্রাপ্তী স্বীকার শায়েস্তাগঞ্জ Rapid ICT কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। সাধুহাটি পাকা রাস্তার উদ্বোধন করেছেন নেছার আহমদ এমপি মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন। চীন ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরল ফোনালাপ মোবাইল ডাটার মেয়াদ বেঁধে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়: মোস্তাফা জব্বার মস্কোতে মিলিত হচ্ছেন পুতিন-শি জিনপিং অচিরেই ফেরত আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভ ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে কিছু কথা

  • Update Time : সোমবার, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
samagrabangla

এইচএসসি, এসএসসি,জেএসসি,আলিম,দাখিল,জেডিসি এবং অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা : পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে কিছু কথা

মাহমুদুর রহমান মামুন :: ॥  সারাদেশে এসএসসি,দাখিল এবং অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা শুরু। তাই আমার এ লেখার উদ্দেশ্য হল কলেজ ও মাদরাসার  পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্রে বিগত সনে ঘটে যাওয়া পূর্বের অভিজ্ঞতালব্ধ কিছু বিষয় শেয়ার করা। যা হয়তো প্রতিনিয়তই ঘটছে কিন্তু ঘটনাগুলো কেউই গুরুত্ব দিচ্ছে না।

পরীক্ষা চলাকালীণ সময়ে যে ঘটনাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি তারমধ্যে এক নম্বর হলো নকল!

যদিও ছোট ছোট শিশুরা বড়দের মতো নকল করা শিখেনি, তারপরও তাদের নকল করতে সাহায্য করার জন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসছে। তাদের উত্তর বলে দিচ্ছেন, কাগজে উত্তর লিখে একজন একজন করে সবাইকে ধরিয়ে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে একজন শিশুর অন্যায় ও অপরাধ করার হাতেখড়ি হয়ে যাচ্ছে। আর সেই হাতেখড়িটা হচ্ছে সেই পরীক্ষা কেন্দ্রের হলগুলোতে কিছু অসাধু শিক্ষকদের দ্বারা।

তাছাড়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আরেকটি  প্রবণতা দেখলাম।সেটা হচ্ছে আশপাশের  অন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বহু নির্বাচনি বা নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর সহ অন্যান্য উত্তর গুলো শেয়ার করে  পরীক্ষার খাতায় জবাব দেয়া। যা সম্পূর্ন  পরীক্ষা বিধির আইন এবং সংবিধানের পরিপন্থী৷যা হয়তো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অজানা নয়।

পরীক্ষার হলে অনেকেই ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে অন্যের খাতা দেখে লেখার অভ্যাস রয়েছে যা নকলের শামিল বা প্রতারণা শামিল।তবে অনেক শিক্ষার্থী , অভিভাবক পরীক্ষাগৃহের ইনভিজিলেটর  বা  পরিদর্শকের কড়া নজরদারিতাকে বিরোধিতা করেন। পরীক্ষাকক্ষে ইনভিজিলেটর  কাজ শুধু পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করা নয়, তার দায়িত্ব পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীরা যেন  তার নিকটে বসা আরেক ছাত্রের উত্তরপত্র দেখে  নিজের খাতায় সে জবাব না লিখতে পারে তা নিশ্চিত করা। আর শিক্ষকরা এত খেয়ালি হওয়ার পরও অন্যের খাতা দেখাদেখি থেকে থামাতে পারছেন না।আর অভিভাকদের কাছে আমার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আপনার শিক্ষার্থীরা যদি প্রকৃত শিক্ষাই অর্জন করে তাহলে তারা পরীক্ষার হলে অন্যের খাতা দেখে লেখার প্রবণতা সৃষ্টি হবে কেন?

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি তাদের মূল দায়িত্বটা পালন করে তাহলে শিক্ষার্থীরা শেয়ার করে খাতায় জবাব দেবে কেন?এখানে একট কথা জানিয়ে রাখা দরকার যে মূল্যায়নের সাধারণ অর্থ মূল্য বিচার। কোন কিছু ভাল বা মন্দ ‘দুর্বল’ বা ‘সবল’ মানসম্মত বা মানসম্মত নয় তা আমরা মূল্যায়নের মাধ্যমে বলতে পারি। যেমন: আন্দালিব গণিতে ভাল, সাদমান ইংরেজিতে দুর্বল এসব সিদ্ধান্ত আমরা নিই গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে তাদের কৃতিত্ব বা সাফল্য মেপে বা পরিমাপ করে। যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় তাই পরিমাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মূল্যায়নের সাথে পরিমাপ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বহু জিনিসের পরিমাণ নির্ণয় করে থাকি। শিক্ষার ক্ষেত্রেও পরিমাপ পরিমাণ নির্ণয় করে থাকে। তবে এই পরিমাণ কিসের পরিমাণ?কোন শিক্ষার্থীর সাফল্য, কৃতিত্ব বা পারদর্শিতার পরিমাণ। মনে করুন, আপনি একদল শিক্ষার্থীর গণিতে সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ণয় করতে শিক্ষার্থীর গণিতের পরীক্ষা নিলেন পরে তাদের উত্তরপত্র যাচাই করে তাতে নম্বর প্রদান করলেন। এখানে গণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হল তার সাফল্যের পরিমাণ বা তার সাফল্যের সংখ্যাগত প্রকাশ।

শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফলকে সংখ্যায় প্রকাশ করার প্রক্রিয়া হল পরিমাপ।মনে করুন, আপনি নৌশিন, ঈশা ও রণির গণিতের উত্তরপত্র দেখলেন এবং তাদের নম্বর দিলেন যথাক্রমে ৯৫, ৮০ ও ৯০ অর্থাৎ তাদের গণিতের সাফল্য সংখ্যায় প্রকাশ করলেন। পরীক্ষায় ফলাফলের বা সাফল্যের সংখ্যার প্রকাশের এরকম প্রক্রিয়াকেই বলা হয় পরিমাপ। আর যদি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা না নিতে পারি তবে যোগ্য শিক্ষার্থীর তালিকা নির্ণেয় করা সম্ভব পর হবে না।

ফলে অযোগ্যরাও যোগ্যদের তালিকায় চলে আসবে। আর এমন অসৎ পরীক্ষার্থীরা নকল বা অন্যের খাতা দেখে লেখার  ফলে বঞ্চিত হয় যোগ্য প্রার্থী, প্রতিষ্ঠান পায় না যোগ্য প্রার্থী। এছাড়া অনেকের আছে দেখে লেখার প্রবনতা। তাছাড়া শিক্ষকরা নিজের বা স্কুলের সাফল্য দেখাতে বা দয়ালুতা দেখাতে কেউ কেউ নীতি বিসর্জন দিয়ে সটিক উত্তর পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেন ।  এমন ধারায় চলছে বর্তমানের পাবলিক পরীক্ষা গুলি।তবে যদি এমন হয় পাবলিক পরীক্ষার পরিবেশ তাহলে শিক্ষক ব্যর্থ  হবে মেধাবী শিক্ষার্থীর  খুজে পেতে, আর রাষ্ট্র্য ব্যর্থ  হবে যোগ্য নাগরিকের হতে তার নিজের দায়িত্ব তুলে দিতে।

যার পরিনাম পরবর্তী  প্রজন্মের সবাইকে সমহারে ভোগ করতে হবে।তাই আমি এবং আমরা সবাই জোট হয়ে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে,হাতে হাত রেখে স্বাধীনতার আসল উদ্দেশ্য পূরণে ও দেশের জন্য, এই সমাজের জন্যে, নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সংগ্রামী জাতিকে সুষ্ঠু ও সুন্দর পাবলিক পরীক্ষা উপহার দিতে পারলে আমরা আমাদের স্বপ্নের চূড়ান্ত গন্ত্যবে পৌঁছাতে পারব।সকল পরীক্ষার্থীদের জন্যে রইল শুভকামনা।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category