1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

না জানা দোষণীয় না, না জানা সত্ত্বেও “জানি” বলাটা দোষণীয়

  • Update Time : সোমবার, জুন ২২, ২০২০

এক সাহাবী আঘাতপ্রাপ্ত হলেন, সময়টা ছিল শীতকাল। উক্ত সাহাবীর এহতেলাম (স্বপ্নদোষ) হলো। তিনি লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করণীয়? লোকেরা নিজদের মত মতামত দিলেন। “গোসল করতে হবে”! সাহাবী গোসল করলেন,(আক্রান্ত স্থানে পানি লাগায় রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায়) তারপর মারা গেলেন।

এই ঘটনা রাসূল সা. এর কাছে পৌঁছালে তিনি বললেন “লোকেরা তাকে হত্যা করল। আল্লাহও তাদের হত্যা করুন”! অপর বর্ণনায়, “হায় হায়! লোকেরা ভুল ফতোয়া দিয়ে তাকে হত্যা করেছে? আল্লাহও যেন তাদেরকে এর শাস্তি দেন।”

তারপর রাসূল সা. বললেন, লোকটা আঘাতের স্থান- মাথা বাদ দিয়ে বাকী দেহ ধুয়ে নিত। আর যেখানে আঘাত, সেটা বাদ দিত, তাহলেই যথেষ্ট হত। অন্য বর্ণনামতে, ‘তার উচিত ছিল তায়াম্মুম করা’! তারপর আরো বলেন, অজ্ঞতার চিকিৎসা হচ্ছে জ্ঞানীদের কাছে জেনে নেয়া।

( মুসনাদে আহমদ -৩০৫৬, দারেমী- ৫৭২, আবু দাউদ- ৩৩৬, হাসান)।

— না জানা দোষণীয় না, না জানা সত্ত্বেও “জানি” বলাটা দোষণীয়..

১- ইমাম শাবী রহ. বলেন, “লা আদরি (আমি জানি না) বলাটাই অর্ধেক ইলম।

২- ইমাম মালেক রহ. বলেন ‘আলেমের গভীর জ্ঞানের নিদর্শন হচ্ছে ‘আমি জানি না’ এ কথা বলা।(এর চেয়ে উত্তম জানা লোক আছেন)

৩- একবার ইমাম মালেক রহ. কে একটা মাস’আলা জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বললেন আমি জানি না। প্রশ্নকারী বলল ‘আরে এটা তো সাধারণ, সহজ একটা মাসালা”! ইমাম মালেক রাগ হয়ে বললেন “দ্বীনের কোন মাস’আলাই সামান্য সাধারণ নয়।

৪- ইমাম মালেক রাহিমাহুল্লার আরেকটা উক্তি আছে, তিনি বলেন। যে কোন মাস’আলায় জবাব দিতে যায়, তার উচিত জবাব দেয়ার পূর্বে নিজেকে জান্নাত জাহান্নামের সামনে পেশ করা। (অর্থাৎ, না জেনে ভুল ফতোয়া দিলে জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হতে পারে)

৫- ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল রাহি. সবচেয়ে বেশি বলতেন ‘লা আদরি’ (আমার জানা নেই)।বিষয়টি অনেক আলেমের দারস্থ হয়ে শেষে তার সামনে আসলে জবাব দিতেন।শেষে বলতেন-হাজা মা ইনদি,ওয়াল ইলমু ইন্দাল্লাহ!(এটিই আমার জানায় ছিল,আসল জ্ঞান আল্লাহর কাছে)

৬- বিশিষ্ট তাবেয়ী আব্দুর রহমান বিল লাইলাহ রহ. বলেন, আমি ১২০ জন আনসারী সাহাবী পেয়েছি, তাদেরকে যখন কোন মাস’আলা জিজ্ঞেস করা হত, তারা নিজে উৎসাহী হতেন না। বরং একজন আরেকজনের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।

(জামিয়ু বয়ানিল ইলমি ও ফাদলিহি- ইবনে আব্দিল বার, ইলামুল মুয়াক্কীনীন- ইবনুল কায়্যিম রাহি.)

এ ছিল সাহাবা, তাবেয়ী ও সালাফগনের আমল। আর আমাদের প্রবণতা? জানি বা না জানি কিছু একটা বলার জন্য জান উশখুশ করে। অথবা যারা জেনেও ফাতওয়া দিচ্ছি, আমারটাই ঠিক, একথায় কেউ কলম ঢুকাতে পারবেনা,এধরনের কথাবলে, চূড়ান্ত ফায়সালা দিয়ে সালাফদের দেখানো পথে চলছি- বলছি!- একটু নিজেকে সালফে সালেহীনদের আমলের সামনে উপরোক্ত কথাগুলির আলোকে পেশ করি।তাহলেও নিজেই খুঁজে পাব সত্য পদ্ধতি কোনটি! আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফিক দিন।।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category