January 20, 2021, 5:46 am
ডিম তো আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য, বানাতেও বিশেষ পরিশ্রম ও উপকরণ লাগে না। বিভিন্নরকম পদও বানানো যায় যেমন ধরুন ডিমের ডালনা, ডিমের অমলেট কারী, ডিম সরষে, ডিম পোস্ত, ডিম ভূর্জি, ডিম আলুর চচ্চড়ি, ডিমের ধোঁকার তরকারি এবং ডিমের কারী বা ডিম ভুনা। এখানে যে পদ্ধতিটি বলব সেটি আমি একজন নন-বেঙ্গলি বান্ধবীর কাছ থেকে শিখেছিলাম।
উপকরণ:
(এখানে কোনোকিছুর পরিমাণ উল্লেখ করলাম না। যতটা পরিমাণ তরকারি চান এবং যত সংখ্যক ডিম নেবেন তার উপর বাকি উপকরণের পরিমাণ নির্ভর করবে)
পদ্ধতি:
ডিমগুলিতে আগে হলুদ মাখিয়ে তেলে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে গোটা গরম মশলা, জিরে ও হিং ফোড়ন দেওয়ার পর পেঁয়াজবাটা দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজাভুজি করুন। তারপর আদা রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষুন যাতে কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে দিন ও টম্যাটো কুচি দিন। একটি বাটিতে সামান্য জল নিয়ে আগে থাকতে ওই জলে পরিমাণমত হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও চিকেন মশলা বা মাটন মশলা গুঁড়ো যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি রাখুন। এবার ওই মশলা গোলা জলটা কড়াইতে দিয়ে অল্পক্ষণ নাড়ানাড়ি করে ডিমগুলো দিয়ে দিন ও কষতে থাকুন। বেশ কিছুক্ষণ কষার পর দেখবেন মশলা থেকে তেল ছেড়ে দিয়েছে এবং মশলার কাঁচা গন্ধও চলে গেছে। আগে থাকতে কিছুটা জল গরম করে রেখে দেবেন। এবার ওই জলটা কড়াইতে দিয়ে দিন, অবশ্যই পরিমাণ বুঝে দেবেন, নয়তো কষা কষা হওয়ার পরিবর্তে ঝোল হয়ে যাবে। এরপর ওর মধ্যে স্বাদমত নুন দিন এবং ঢাকা দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। জল শুকিয়ে বেশ মাখো মাখো হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
এই মুহূর্তে আমার কাছে নিজের বানানো ডিম ভুনার কোনো ছবি দিয়ে দিলাম। খাবারের কথা বলব অথচ সেটির কোনো ছবি থাকবে না, কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
লিখছেন:তমালিকা ঘোষাল ব্যানার্জী, প্রাক্তন উচ্চ বিদ্যালয় গণিত শিক্ষিকা।