1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

টিআইএন বাতিল হয় না কেন?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২০, ২০২২

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়কর আইন বা অধ্যাদেশে দুইভাবে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

প্রথমত, নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়সীমা অতিক্রম করলে সব টিআইএনধারী বা নিবন্ধিত করদাতাকে বছর শেষে রিটার্ন দিতে হয়। তবে করযোগ্য আয় না থাকলেও কিছু পেশাজীবী বা বিশেষ শ্রেণির টিআইএনধারীর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক।

দ্বিতীয়ত, সব টিআইএনধারীকেই রিটার্ন দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু পেশাজীবী বা বিশেষ শ্রেণির করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হয় না।

টিআইএন কি

টিআইএন মানে ইলেকট্রনকি ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার, ইহা আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করন। ইহা ১২ ডিজিটের ১টি নম্বর।

টিআইএন সনদ কি

একজন করদাতা কর প্রদানের উদ্দেশ্যে কোন সার্কেলে আবেদন করিলে সংশ্লিষ্ট সার্কেল থেকে উপকর কমিশনার কর্তিক করদাতা সনাক্ত করতে যে সনদ প্রদান করা হয় তাকে টিআইএন সনদ বলে।

মারা গেলেও রক্ষা নেই কেন?

বাংলাদেশের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকার বেশি হলে রিটার্ন জমা দিয়ে কর দিতে হবে। ১২ সংখ্যার ই-টিআইএনধারী সবাইকে রিটার্ন দিতে হয়। তা থেকে কেউই রেহাই পাবেন না। আবার একই ধারায় রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক, এমন কিছু পেশাজীবী বা শ্রেণির কথাও বলা হয়েছে। যেমন গাড়ির মালিক, কোম্পানির পরিচালক, ফার্মের অংশীদার, অভিজাত ক্লাবের সদস্য, ১৬ হাজার টাকার বেশি মূল (বেসিক) বেতনধারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ, চেম্বার বা ব্যবসায়িক সমিতির সদস্য, পৌরসভা থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত প্রার্থী, ঠিকাদার, লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিক, দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী।

বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশে টিআইএন বাতিল বা স্থগিত করা সংক্রান্ত ধারা নেই। তাই আপনি একবার টিআইএন নিলে জীবনভর প্রতিবছর আয়-ব্যয়ের বিবরণী জানিয়ে রিটার্ন জমা দিয়ে যেতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণে করযোগ্য আয় না থাকলেও কিন্তু রিটার্ন দেওয়ায় কোনো ছাড় নেই। এমনকি বছরের পর বছর আপনার যদি এক টাকাও আয় না হয়, তবু রিটার্ন দিতে হবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি টিআইএন বাতিল বা স্থগিত করতে চাইলেও পারবেন না। তবে জমির ক্রেতা ও ক্রেডিটধারীরাই কেবল এ ক্ষেত্রে মাফ পান।

সে জন্যই হয়তো দীর্ঘদিন ধরে একটি কথা চালু আছে, একবার করের জালে ঢুকে পড়লে, আর বেরোনোর সুযোগ নেই। কথাটি পুরোপুরি সত্য। ১২ সংখ্যার টিআইএন থাকা মানে আর কর জাল থেকে বের হওয়া যাবে না। এমনকি করদাতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারদেরও সেই জের টানতে হয়। মৃত্যুর সময় করদাতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বা ব্যবসা থেকে কোনো আয় হলে তাঁর পক্ষে রিটার্ন জমা দিয়ে কর দিতে হবে।

সব টিআইএনধারীর জন্যই রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে দেশে ৬৭ লাখ টিআইএনধারী আছেন। এর মধ্যে এ বছর ২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন দিয়েছেন। রিটার্ন জমা না দিলে আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারায় জরিমানা ও বিলম্ব সুদ আরোপের বিধান আছে।

তবে এটাও মনে রাখুন, মৃত ব্যক্তির নামে থাকা সম্পদ বা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুধু করযোগ্য আয় থাকলেই রিটার্ন দিয়ে কর দিতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হবে না।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category