June 8, 2023, 11:27 am
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য দরকার আর এই খাদ্যের জন্য কাজ করতে হয়। কাজ করার বিনিময়ে আমরা যে অর্থ পাই তাই দিয়ে আমরা আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি। মূল কথা হচ্ছে টাকার জন্যই আমরা কাজ করে থাকি।
আমাদের টাকার লেনদেন প্রতিদিন হয়ে থাকে। তবে টাকা লেনদেন বা টাকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় একটা বিষয় করি টাকায় লেখা থাকা চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে। তবে কখনো কী ভেবে দেখেছেন, ১ ও ২ টাকা বাদে বাকি সব টাকার নোটে কেন এই কথাটি লেখা থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে অর্থনীতিবিদ হতে হবে না।
আমারা জানি টাকা বিনিয়ম মাধ্যম। কিন্তু এই টাকা কেউ চাইলেই কি তাকে দিতে হবে? বা দিতে কি বাধ্য?
এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ টাকার মধ্যে লেখা ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’।
কেন টাকায় লেখা থাকে এমন কথা? এর অর্থ কী?
‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকা’ কথাটার অর্থ কিছুটা জটিল। ব্যবহারকারী বা বিনিময়ের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারি মুদ্রা হলো দুটি। এক ও দুই টাকার নোট কিংবা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা। আর বাকিগুলো হলো সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো ‘বিল অব এক্সচেঞ্জ’।
ধরুন, আপনি কোনো কারণে ব্যাংক নোটের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই আপনি ১০০, ২০০ টাকার একটি নোট বাংলাদেশ ব্যাংক কাউন্টারে জমা দিয়ে বিনিময় চাইলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবামাত্র এর বাহককে অর্থাৎ আপনাকে সমপরিমাণ এক ও দুই টাকা দিয়ে দেবে। অর্থাৎ চাওয়ামাত্রই বাহককে টাকা দিয়ে দায়মুক্ত হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এটিই হচ্ছে বাধ্য থাকার মূল বিষয়।
সে হিসেবে মার্কেটে যত টাকার নোট আছে ঠিক সমপরিমাণ টাকা (১ ও ২) বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত আছে। সুতরাং সব নোট ব্যাংকে জমা করলেও ১ ও ২ টাকার কয়েন/ নোট দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ ও ২ টাকা হলো টাকা, আর বাকিগুলো বিল অব এক্সচেঞ্জ। আর এজন্য ১ ও ২ টাকার নোটে লেখা থাকে না ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। বাকি নোটগুলোয় ঠিকই লেখা থাকে।