June 8, 2023, 3:01 am
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দুই মাসের মাথায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। এ মাসের শুরুতেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি বিভাগ। তড়িঘড়ি করে গত সপ্তাহে দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব জমাও দিয়েছিল গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিধিসম্মত না হওয়ায় ‘দায়সারা’ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করতে হলে প্রবিধানমালা মেনে প্রস্তাব জমা দিতে হবে। বিতরণ কোম্পানি তা মানেনি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়নি। তাই তাদের নিয়ম মেনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৈধ কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ভর্তুকির চাপ সামলাতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় তারা। এরপর ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি অভিন্ন প্রস্তাব তৈরি করে। আবাসিকে দুই চুলায় ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা ও এক চুলায় ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করতে চায় তারা। আবাসিকে প্রিপেইড মিটার, শিল্প, সিএনজি, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ) ব্যবহৃত গ্যাসের দামও দ্বিগুণের বেশি করার দাবি তাদের।
তবে বিইআরসির দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে এখন দিনে গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ২৩০ কোটি ঘনফুটের (৭৮ শতাংশ) বেশি আসে নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে। আর কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হয় মোট সরবরাহের ১৭ শতাংশ। আর ৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক খোলাবাজার থেকে প্রয়োজন বুঝে কেনা হয়। যদিও গত দুই মাস ধরে এটি কেনা বন্ধ আছে। মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাসের বাড়তি দামের নামে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা দূরে থাক, বাড়ানোরই কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না কমিশনের এ দুই কর্মকর্তা।