March 27, 2023, 11:58 am
বিভিন্ন কারণে-অকারণে অফিসের বস হাতে ধরিয়ে দিতে পারে শোকজ লেটার (Show cause notice / Show cause letter) বা কারণ দর্শানোর নোটিশ। এতে সন্তুষ্টি মুলক জবাব দিতে না পারলে, কর্তৃপক্ষ নিতে পারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
প্রেরকঃ ব্যবস্থাপক, বঙ্গ বাজার , ঢাকা।
প্রাপকঃ কালা মানিক, সহকারী হিসাব রক্ষক।
বিষয়: বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও বিলম্বে আগমনের কারণ দর্শানো প্রসঙ্গে।
এতদ্বারা আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, বিগত ২২/০৭/২০১৮ খ্রিঃ তারিখে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং ০১/০৭/২০১৮ খ্রি. হইতে ০৭/০৭/২০১৮ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত কর্মস্থলে বিলম্বে আগমন করেন যাহা চাকুরী বিধির পরিপন্থী। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহন করা হইবে না, নোটিশ পাওয়ার ০৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
ব্যবস্থাপক
(আল হুসাইন)
আপনার কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে নীচের বিষয়গুলি অবশ্যই থাকবে —
মাননীয় ব্যবস্থাপক, বঙ্গ বাজার , ঢাকা। ০৯।০৯।২০১৮ খ্রিঃ
বিষয় : কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান পূর্বক কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য আমি এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে গত পহেলা জুলাই ২০১৮ খ্রিঃ তারিখ থেকে ০৭ই জুলাই ২০১৮ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে উপস্থিত ছিলাম। উল্লেখ্য করা প্রয়োজন যে , হাজিরা খাতা রেকর্ড অনুযায়ী- ১লা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৪৫ মিনিটে, ২রা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৪৫ মিনিটে,৩রা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৩০ মিনিটে, ৪ঠা জুলাই অফিসে গমন করি ৯:৪৫ মিনিটে, ৫ই জুলাই Casual Leave নেই, ৬ই জুলাই ছিল সপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার, ৭ই জুলাই অফিসে গমন করি ৯:০০ টায়। আর এদিকে প্রস্থানটা অবশ্যই দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবগত পূর্বকই হয়েছে। কিন্তু কারণ দর্শানো নোটিশ (সুত্র নং-শামকামা ২০১৮/১৭৫) মোতাবেক আমি উক্ত কার্য দিবস গুলোতে অনিয়মিত ছিলাম। অন্যদিকে ২২ শে জুলাই ২০১৮ খিৃ. তারিখে আমি মানসিক অক্ষমতা জনিত কারণে উক্ত কার্য দিবসে অনুপস্থিত ছিলাম। ঐ দিনে আমি এমনটাই Emotional Illness ছিলাম যে পূর্বে অবহিত করণের কোনো সুযোগই সৃষ্টি হয়নি।
তবে এর দ্বারা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করি না। কারণ অত্র অফিসের কার্য দিবস শুরু হয় ৯:৪০ মিনিটে । তবে এই সর্তকতাকে সাধুবাদ জানাই।
যাই হোক যে যাদের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত তাকে, তাদের সম্পর্কে জবাবদিহি করাটাও কিন্তু পার্থিব নিয়মে গড়ে ওঠা সমাজ ব্যবস্থারও অংশ। বাস্তবে জবাবদিহির কতটুকু বলবৎ রয়েছে সে কথা ভিন্ন। ইসলাম কিন্তু অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে এ জবাবদিহির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। আখেরাতে অনিবার্য জবাবদিহিতাকে কোনো নির্বোধ যদি উপেক্ষা ও করে – সমাজ, ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতাকে মনে প্রাণে লালন করে, তাহলেও যে কোনো অনিয়ম করতে তার পিছপা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে টপ টু বটম সবার জন্য জবাবদিহিতা মূলক বিধি ব্যবস্থায় প্রচলন থাকাও বাঞ্চনীয়।
পরিশেষে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলতে চাই প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড আমি সহ অন্য কারো দ্বারা শৃংখলার পরিপন্থি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এমনটাই আশা।
নিবেদক
কালা মানিক
সহকারী হিসাব রক্ষক।
আরও পড়ুন: কর্মজীবন শুরু করার জন্য ১টি আদর্শ প্লাটফর্ম হলো ব্যবসা: পার্ট-১
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশটা একজন লেখকের বস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া অংশ বিশেষই এখানে প্রকাশ পেয়েছে প্রায়…. তবে এখানে অনেক কিছুই তার ঘটনার প্রেক্ষাপটে রচনা করা হয়েছে……
যেকোনো পরার্মশ ও সহযোগিতা পাওয়ার জন্যে-ফোন অথবা ইমেইল করুন:infosamagrabangla@gmail.com /01712441641
আরও পড়ুন:কেউ অপমান করলে তাকে উত্তর দেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কী?
আরও পড়ুন:B2B বা বিজনেস টু বিজনেস কি?
নমুনা অংশ:২
আমার একটি নোটিশের জবাব লিখে দিবেন? আমি সে্টার সুপার ভাইজার। নাইট ডিউটির roster এর সাথে খারাপ আচরন এর জন্য…
(জবাব)-২
বরাবর
ব্যবস্থাপক মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ
বিষয় –কারণ দর্শনোর জবাব প্রসঙ্গে।
জনাব,
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার সুনামধন্য তৈরি পোশাক শিল্পকারখানায় সততা ও ন্যায় নিষ্টার সহিত দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করে আসিতেছি । এমতাবস্থায় গত ৩০/০১/২০১৯ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনায়ন করা হয়। যাহাতে উল্লেখ্য করা হয়, সেকশনের করমকরতাগনদের অমান্য করা সহ , pg–266 প্রিন্টের পার্টে স্যম্পল দিতে না পারাটা ইচ্ছে কৃতভাবে বা চরম অবহেলা ও অমনোযোগের কারণ।
আসলে গত ৩০–০১–১৯ ইং সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে আমি pg–266 প্রিন্টের পার্টটা হাতে পাই এবং সাথে সাথে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে আমার সেকশন প্রধান কে জানাই। pg 266 গারমেন্টসের প্রধান ফেব্রিকস না থাকায় তিনি আমার কাছে রেখে দিতে বলেন। ওই দিনে আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে আমি pg 266 মেইন (প্রধান) ফেব্রিকস হাতে পাই এবং সাথে সাথে সুইং করার জন্য দায়িত্বরত অফিসার কে প্রিন্টের পার্টটি দিয়ে দেই । তখন তিনি মেইন (প্রধান) ফেব্রিকস কালারের সাথে প্রিন্ট কালার মিলিয়ে দেখতে পান কালারের মিল নাই এবং Artwork অনুযায়ী প্রিন্টের নিচে একটা লগো নেই।
এই ইসু ধরে সেকশন প্রধান আমাকে অনেক গালাগালি করেন এবং ৩ দিন কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখেন। আমি আমার সেকশন প্রধানের কাছে ক্ষমা চেয়েছি , যদি আমার কোন অন্যায় হয়ে থাকে বা আমি যদি কোন ভুল করে থাকি আমাকে মাফ করে দেন এবং দয়া করে পূর্বের নিয়ম আনুযায়ী কাজ করতে দেন। তার পরও আমি ক্ষমা পাইনি।এদিকে আমাকে ৩ দিন কাজে না দিয়ে বসিয়ে রাখায় আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি ও নিজেকে অপরাধ বোধ করি। আসলে সেকশনের করমকরতাগনদের অমান্য করা বিষয়টি ভিত্তিহীন সাজানো। আমি মনে করি আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত, এই অভিযোগের বাহিরে অন্য কোন ইসু থাকতে পারে।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন। উপরক্ত বিষয়বলি সুবিবেচনা করে আমার যদি কোন ভুল হয়ে থাকে আমাকে ক্ষমা দৃষটিতে দেখবেন। এবং আগের সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার ও সুন্দর পরিবেশ দিয়ে আমাকে মানসিক স্বস্তিতে সুযোগর কামনা করছি।
আরও পড়ুন: সুন্দর জীবন যাপনের জন্যে কুর‘আন ও হাদীস থেকে শ্রেষ্ঠ দো’আ সমূহ:
আরও পড়ুন: না জানা দোষণীয় না, না জানা সত্ত্বেও “জানি” বলাটা দোষণীয়