1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :
Title :
পসবিদের ২১২৯২০৭৭ টাকা কার পকেটে? প্রধান নিবার্হীর স্বাক্ষরীত কালেকশন সিটে প্রাপ্তী স্বীকার শায়েস্তাগঞ্জ Rapid ICT কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। সাধুহাটি পাকা রাস্তার উদ্বোধন করেছেন নেছার আহমদ এমপি মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন। চীন ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরল ফোনালাপ মোবাইল ডাটার মেয়াদ বেঁধে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়: মোস্তাফা জব্বার মস্কোতে মিলিত হচ্ছেন পুতিন-শি জিনপিং অচিরেই ফেরত আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভ ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

রবীন্দ্র পরবর্তী সাহিত্য: উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ

  • Update Time : রবিবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

 

বিভূবিভূষন বন্দোপাদ্যায়ঃ

শরৎচন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)। তাঁর সাহিত্যের মূল বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি ও মানবজীবন। তাঁর রচিত উপন্যাসগুলো হলো পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিতা (১৯৩১), আরণ্যক (১৯৩৮), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), ইছামতি (১৯৪৯), অশনি সংকেত (১৯৫৯) প্রভৃতি। 

পথের পাঁচালী ও অশনি সংকেত উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সত্যজিৎ রায়। 

বিভ‚তিভ‚ষণের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম ‘তৃণাঙ্কুর’ (১৯৪৩)।

ছোটগল্প: ‘মেঘমাল্লার’, ‘মৌরিফুল’, ‘যাত্রাবদল’, ‘জন্ম ও মৃত্যু’, ‘কিন্নর দল’, ‘বিধু মাস্টার’। 

 

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়(১৮৯৮-১৯৭১):

তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘হাসুলী বাঁকের উপকথা’। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাসগুলো হলো গণদেবতা, ধাত্রীদেবতা, পঞ্চগ্রাম। তাঁর আরও কয়েকটি উপন্যাস হলো- চৈতালী ঘূর্ণি, কালিন্দী, কবি, আরোগ্য নিকেতন প্রভৃতি। 

তাঁর রচিত ছোটগল্পগুলো হলো: জলসাগর, রসকলি, বেদেনী, ডাক হরকরা। 

ছোটগল্প: জলসাঘর (১৯৩৭), বেদেনী (১৯৪০), পাষাণপুরী, নীলকণ্ঠ, ছলনাময়ী। 

 

মানিক বন্দোপাদ্যায়:

তাঁর পিতৃ প্রদত্ত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক নাম মানিক। ফ্রয়েডীয় তত্ত¡ তথা মনোবিকলন তত্তে¡-উজ্জীবিত হয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁকে বলা হয় ‘কলম-পেষা-মজুর’। জীবনের প্রথমভাগে তিনি ফ্রয়েডীয় সাহিত্যিক আর শেষভাগে মার্ক্সিস্ট লেখক। 

তাঁর প্রথম গল্পের নাম অতসী মামী, প্রথম উপন্যাস ‘জননী’ (১৯৩৫)। তাঁর রচিত উপন্যাসগুলো হলো: জননী, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা (চরিত্র: শশী, কুসুম, মতি, কুমুদ), শহরবাসের ইতিকথা, ইতিকথার পরের কথা, অহিংসা, পদ্মানদীর মাঝি (চরিত্র: কুবের, কপিলা, হোসেন মিয়া), শহরতলী, সোনার চেয়ে দামী, স্বাধীনতার স্বাদ, আরোগ্য ইত্যাদি। 

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। এ উপন্যাসের উপজীব্য জেলে জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ। 

তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থগুলো হলো: অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক (চরিত্র: ভিখু, পাঁচি), মিহি ও মোটা কাহিনী, সরীসৃপ, সমুদ্রের স্বাদ ইত্যাদি।

ছোটগল্প: অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), সরীসৃপ, আজকাল পরশু’র গল্প। 

বিখ্যাত গল্প : প্রাগৈতিহাসিক, চরিত্র : ভিখু, পাঁচী। 

প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫)

 

 বুদ্ধদেব বসু(১৯০৮-১৯৭৪):

বুদ্ধদেব বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের কৃতি ছাত্র। বুদ্ধদেব বসু কবিতা, নাটক, উপন্যাস- সাহিত্যের শক্তিশালী এ তিন ধারায় সমান বিচরণ করেছেন। তিনি একচল্লিশটি উপন্যাস রচনা করেন। তিনি কাব্যধর্মী উপন্যাস রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। 

প্রধান উপন্যাস: ‘একদা তুমি প্রিয়ে’ (১৯৩৪), ‘তিথিডোর’ (১৯৪২), ‘মৌলিনাথ’ (১৯৫২), ‘নীলাঞ্জনের খাতা’ (১৯৬০), ‘রাতভরে বৃষ্টি’ (১৯৬৭)।

বুদ্ধদেব বসু একাধিকবার অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ‘রাতভরে বৃষ্টি’ এরূপে অভিযুক্ত একটি গ্রন্থ। 

 

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ(১৯২২-১৯৭১):

উপন্যাস: লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪), কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৮৬৮)।

লালসালু: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ প্রথম ‘লালসালু’ (১ম প্রকাশ ১৯৪৮, ২য় প্রকাশ ১৯৬০) উপন্যাস লিখে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের সাহিত্যে যে সব উপন্যাস প্রবল আলোড়ন তুলতে সমর্থ হয়েছে ‘লালসালু’ তাদের মধ্যে অন্যতম। গ্রামীণ জীবনের পটভ‚মিতে এ উপন্যাস রচিত। ধর্মের নামে স্বার্থান্ধ মানুষের কার্যকলাপ এখানে রূপলাভ করেছে। গ্রাম-বাংলার বাস্তব চিত্র অঙ্কনে এ উপন্যাসটি অত্যন্ত মূল্যবান। এ উপন্যাসে ধর্মীয় ভÐামির নিখুঁত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ‘মজিদ’ লালসালু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ধর্মকে ব্যবহার করে মজিদ কীভাবে গ্রামের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করল এবং ধর্মব্যবসার ভিত্তি রচনা করল- এটাই ‘লালসালু’ উপন্যাসের উপজীব্য। 

চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারী, জমিলা, রহিমা, হাসুনীর মা, আক্কাস। 

কাঁদো নদী কাঁদো : ১৯৬৮ সালে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত চেতনা প্রবাহরীতির একটি উপন্যাস। 

বৈশিষ্ট্য: আঙ্গিক প্রকরণে পাশ্চাত্যের প্রভাব থাকলেও এর সমাজজীবন, পরিবেশ ও চরিত্রাদি স্বদেশীয়। শুকিয়ে যাওয়া বাকাল নদীর প্রভাবতাড়িত কুমুরভাঙ্গার মানুষের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে।

 চরিত্র ও বিষয়বস্তু: তবারক ভুইয়া নামে এক স্টিমারযাত্রীর মুখে বিবৃত কুমুরডাঙ্গার ছোট হাকিম মুহাম্মদ মুস্তফার জীবনালেখ্য ও জীবনের ইতিকথা এর বিষয়বস্তু।

‘চাঁদের অমাবস্যা’ মনোসমীক্ষণমূলক উপন্যাস। 

ছোটগল্প : 

খ্যাতনামা সাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁর দুটি গল্পগ্রন্থে বিশেষ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর বেশিরভাগ গল্পে গ্রামবাংলার ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বাস্তবসম্মত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। গল্পসমূহে মনস্তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ লক্ষণীয়। বাংলা সাহিত্যে তাঁর গল্পসমূহ শৈল্পিক বিচারে বিশিষ্টতার দাবিদার। 

নয়নচারা (১৯৫১) (চরিত্র : আমু), না কান্দে বুবু, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প (১৯৬৫) ইত্যাদি। 

নাটক: তরঙ্গভঙ্গ, বহিপীর, উজানে মৃত্যু, সুড়ঙ্গ। ‘বহিপীর’ তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্ত নাটক। 

 

 শহীদুল্লা কায়সার(১৯২৬-১৯৭১):

উপন্যাস : সারেং বৌ, সংশপ্তক। 

রাজবন্দীর রোজনামচা (১৯৬২) এবং পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬) লেখকের বহুল আলোচিত স্মৃতিকথা ও ভ্রমণবৃত্তান্ত। 

 

জহির রায়হান(১৯৩৩-১৯৭২)

তাঁর প্রকৃত নাম মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। 

উপন্যাস: শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফাল্গুন, বরফগলা নদী, কত দিন, হাজার বছর ধরে, কয়েকটি মৃত্যু, তৃষ্ণা। 

‘হাজার বছর ধরে’ ১৯৬৪-এ প্রকাশিত হয় এবং একই বছর আদমজি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। এটি জহির রায়হানের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। 

‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮) ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পটভ‚মিতে লিখিত উপন্যাস। উপন্যাসে ১৯৫৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের কাহিনী নির্মাণ করা হয়েছে। 

‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯) লেখকের বৃহত্তম উপন্যাস। 

গল্পগ্রন্থ : সূর্যগ্রহণ (১৯৬৯) (একমাত্র গল্পগ্রন্থ)।

‘সূর্যগ্রহণ’ গল্পে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত তসলিম নামক যুবকের পরিবারের মর্মবিদারক কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। 

‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ভাষা আন্দোলনের পটভ‚মিতে রচিত গল্প। 

‘বাঁধ’ গ্রামীণ পটভ‚মিতে পীরদের ভণ্ডামি নিয়ে রচিত। 

 

 জসীমউদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬)

উপন্যাস : বোবা কাহিনী।

আনোয়ার পাশা (১৯০৩-১৯৭১)

উপন্যাস: রাইফেল রোটি আওরাত। এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম উপন্যাস। পঁচিশে মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এ উপন্যাসে তার অনুপঙ্খ বর্ণনা রয়েছে। 

 

সৈয়দ মুজতবা আলী(১৯০৪-১৯৭৪)

 

তিনি হাসির গানের রাজা হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণ কাহিনীমূলক রচনার নাম ‘দেশে বিদেশে’। ‘চাচাকাহিনী’ তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। 

গল্পগ্রন্থ: চাচাকাহিনী, পঞ্চতন্ত্র, ময়ুরকণ্ঠী, ধূপছায়া, শবনম, অবিশ্বাস্য, জলে ডাঙ্গায়, চতুরঙ্গ, পরশ পাথর, পাদটীকা ইত্যাদি। 

 

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়:

‘বনফুল’ হল বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭৯) এর ছদ্মনাম। তিনি বাংলা জীবনী নাটক রচনার পথিকৃৎ।

উপন্যাস – তৃণখণ্ড, ‘কিছুক্ষণ, সে ও আমি, নির্মোক, জঙ্গম, স্থাবর, লক্ষীর আগমন ইত্যাদি। 

বনফুলের মূল নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। বলাইচাঁদ কিশোর বয়সে ‘বনফুল’ ছদ্মনামে পরিচারিকা, মালঞ্চ ইত্যাদি পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। ছোটগল্প : তন্বী, উর্মিমালা। 

তিনি খুব ছোট আকৃতির (অর্ধপৃষ্ঠা) প্রচুর গল্প লিখে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

 

রাজখেশর বসু(১৮৮০-১৯৬০)

তাঁর ছদ্মনাম ‘পরশুরাম’। তিনি হাস্যরসিক গল্পকার হিসেবে পরিচিত।

 

আবুল মনসুর আহমদ:

একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৭-১৯৭৯)। তিনি বাংলা সাহিত্যে রম্যগল্পের সূত্রপাত করেন। তিনি ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’ পত্রিকার (১৯৪৬-১৯৪৮) সম্পাদক ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি যুক্তফ্রন্ট (১৯৫৪) মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর গল্পগ্রন্থ হলো আয়না, ফুড কনফারেন্স, আসমানী পর্দা প্রভৃতি। তাঁর রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু। শিশু সাহিত্যগুলো হলো ‘গালিভারের সফরনামা’ (১৯৫৯), কাসাসুল আম্বিয়া (১৯৪৯)।

 

মাওলানা আকরম খাঁ(১৮৬৯-১৯৬৮)

মোস্তফা চরিত মাওলানা আকরম খাঁর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধগ্রন্থ। গ্রন্থটি হযরত মুহাম্মদ সা.-এর জীবনী। 

 

 ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ(১৮৮৫-১৯৬৯)

তিনি প্রধানত ভাষাতত্তবিদ। 

গ্রন্থ: বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত। 

অনুবাদ গ্রন্থ: ‘শিকওয়াহ’ ও ‘জওয়াব ই শিকওয়াহ’। 

সম্পাদিত পত্রিকা: আঙুর। তিনি ‘বাংলা আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন। 

 

 মোহাম্মদ বরকতুল্লা(১৮৯৮-১৯৭৪)

প্রবন্ধগ্রন্থ : বিদায় হজ্জ্ব, পারস্য প্রতিভা। 

 

মুহাম্মদ আব্দুল হাই(১৯১৯-১৯৬৯):

তিনি শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তি¡ক ও সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাত। ‘বিলাতে সাড়ে সাতশ’ দিন তাঁর রচিত ভ্রমণকাহিনী। তিনি সৈয়দ আলী আহসানকে সঙ্গে নিয়ে রচনা করেন ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’। 

প্রবন্ধগ্রন্থ: ধ্বনি বিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্য, তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা।

 

ড. মুহাম্মদ এনামুল হক(১৯০৬-১৯৮২)

তিনি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সহায়তায় ‘আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেন। ‘বঙ্গে সুফী প্রভাব’ তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। 

প্রবন্ধগ্রন্থ: মনীষা মঞ্জুষা, চট্টগ্রামী বাংলার রহস্যভেদ। 

 

 আবু ইসহাক:

গল্পগ্রন্থ : হারেম (১৯৬২), মহাপতঙ্গ (১৯৬৩)।

‘জোঁক’ গল্পে শোষক মহাজন ও শোষিত বর্গাচাষীদের চিরন্তন বিরোধ চিত্রিত হয়েছে। 

‘মহাপতঙ্গ’ গল্পটিতে একজোড়া চড়–ই পাখির জবানিতে একদিকে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ, অন্যদিকে অভিশাপের কথা বিধৃত হয়েছে। 

আবু ইসহাকের প্রথম গল্প ‘অভিশাপ’ ১৯৪০ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত ‘নবযুগ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 

 

কাজী মোতাহার হোসেন:

তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা (১৯২৬)। একাধারে সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, দাবাড়–, সঙ্গীতজ্ঞ ও বিজ্ঞানী। তিনি শিখা (১৯২৭) পত্রিকার মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর গবেষণাধর্মী প্রবন্ধগ্রন্থ হলো ‘সঞ্চায়ন’। 

ড. কাজী দীন মোহাম্মদ : ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (চার খণ্ড)।

 

আবুল কালাম শামসুদ্দীন(১৮৯৭-১৯৭৪)

তিনি সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি দৈনিক মোহাম্মদী, সওগাত ও দৈনিক আজাদ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি আদেশে প্রথম ভাষাশহিদ মিনার উদ্বোধন করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।

 

ইব্রাহিম খাঁ(১৮৯৪-১৯৭৮)

গ্রন্থ : ‘আনোয়ার পাশা’, ‘ইস্তাম্বুলের যাত্রীর পত্র’। 

 

মোতাহার হোসেন চৌধুরী(১৯০৩-১৯৫৬)

মোতাহার হোসেন চৌধুরী বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সংস্কৃতি কথা’ তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ। মোতাহের হোসেন চৌধুরী ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধে সংস্কৃতির স্বরূপ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।” 

 

নীহাররঞ্জন রায় (১৯০৩-১৯৮১)

গ্রন্থ : ‘বাঙালির ইতিহাস’। 

 

আবুল ফজল

আবুল ফজল ব্যক্তিগত জীবনে অধ্যাপনা করতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিযুক্ত হন। তিনি বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। 

 

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী(১৯২৬-১৯৭১)

প্রবন্ধগ্রন্থ: রবি পরিক্রমা, সাহিত্যের নবরূপায়ন, বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার। ‘রবি পরিক্রমা’ রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত তাঁর কতিপয় প্রবন্ধের সংকলন। 

 

  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় শরৎচন্দ্রের পরবর্তী ঔপন্যাসিকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর রচিত সাহিত্য মধুর ও কাব্যধর্মী ভাষায় অখÐ ও অবিচ্ছিন্ন সত্তায় ধারণ করেছে প্রকৃতি ও নিম্নশ্রেণির মানবজীবন। তাঁর ছোটগল্পগুলোর মধ্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে গীতিকবির ব্যক্তিত্ব।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর গ্রাম। 

তিনি ‘চিত্রলেখা’ (১৯৩০) পত্রিকা এবং হেমন্তকুমার গুপ্তের সাথে ‘দীপক’ (১৯৩০), পত্রিকা সম্পাদন করেন। 

১৯২১ সালে প্রবাসী পত্রিকায় ‘উপেক্ষিত’ নামক গল্প প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। 

তিনি ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে (১৫ কার্তিক, ১৩৫৭) বিহারের ঘাটশীলায় মারা যান।

 

প্রশ্ন: তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ কী কী? 

উত্তর: ‘পথের পাচালী’ (১৯২৯): এটি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনূদিত। মূল চরিত্র: অপু, দুর্গা। উপন্যাসটি তিনটি অংশে বিভক্ত। যথা: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু ও অক্রুর সংবাদ। সত্যজিৎ রায় এ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। 

 

‘অপরাজিত’ (১৯৩১): এটিকে ‘পথের পাচালী’ উপন্যাসের দ্বিতীয় খÐ বলা হয়। উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে মাসিক ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে (১৩৩৮)। ‘আলোক সারথী’ নামে এ উপন্যাসটির প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল। উপন্যাসের নায়ক অপুর শৈশব ও কৈশোর জীবন, মা সর্বজয়ার মৃত্যু, অপর্ণার সাথে বিবাহ ও শিশুপুত্র কাজলের মাধ্যমে পুনরায় প্রিয় শৈশবের প্রিয় গ্রাম নিশ্চিন্দিপুরের স্মৃতিমন্থন এ উপন্যাসের মূল কাহিনি। অপরাজিত উপন্যাসের একটি অংশ নিয়েই সত্যজিৎ রায় ‘অপুর সংসার’ সিনেমা তৈরি করেছেন। 

‘দৃষ্টিপ্রদীপ’ (১৯৩৫): অবাস্তব ও অধিবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি এর কাহিনি। 

‘আরণ্যক’ (১৯৩৮): এ উপন্যাসে প্রাধান্য পেয়েছে অরণ্যাচারী মানুষের জীবন। ভাগলপুরের নিকটবর্তী বনাঞ্চলের মানুষের জীবনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিচিত্র চরিত্র, তাদের সুখ-দুঃখ, আশা-আনন্দ এ উপন্যাসের মূল কাহিনি। 

‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ (১৯৪০): এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাজারী ঠাকুরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠা লাভ এবং মানুষের ভালোবাসা অর্জনের কাহিনিই এ উপন্যাসের মূল বিষয়। 

‘অনুবর্তন’ (১৯৪২): বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তি অভিজ্ঞতার রূপায়ণ এ উপন্যাস। গ্রামের মানুষের মধ্যে সামান্য স্বার্থ নিয়ে দলাদলি এবং পরিণামে ট্র্যাজিক পরিণতিই এ উপন্যাসের মূল সুর। 

‘দেবযান’ (১৯৪৪): এটি প্রেমতত্ত¡ ও পরলোকতত্ত¡ ভিত্তিক উপন্যাস। অবাস্তব ও অধিবাস্তব দৃষ্টি ভঙ্গি এর কাহিনি ও চরিত্রবিন্যাসের নিয়ামক। 

‘ইছামতি’  (১৯৪৯): ইছামতি নদীর তীরবর্তী গ্রামে প্রচলিত সংস্কার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নারী জাগরণ, ইংরেজ শাসকদের প্রভাবে কৃষিনির্ভর বাঙালির বাণিজ্য চেতনা এবং নীলচাষের প্রতিবাদ, নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনকথা এ উপন্যাসের আলেখ্য। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ উপন্যাসের জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (মরণোত্তর) লাভ করেন। 

[বাজারের অন্যান্য বইয়ে উপন্যাসটির প্রকাশকাল দেওয়া হয়েছে ১৯৫০। কিন্তু ‘বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান’ এ দেওয়া হয়েছে ১৯৪৯।]

‘অশনি সংকেত’ (১৯৫৯): এ উপন্যাসটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটে রচিত। এটি ধারাবাহিকভাবে মাতৃভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

[বাজারে প্রচলিত বইয়ে বলা হয়েছে যে, ঋত্বিক ঘটক এ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। প্রকৃতপক্ষে সত্যজিৎ রায় এ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশের চিত্রনায়িকা ববিতাকে চলচ্চিত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হয়।] 

‘বিপিনের সংসার’ (১৯৪১), ‘দম্পতি’ (১৯৫২):

পথের পাঁচালী (উপন্যাস) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পথের দাবী (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন: ‘পথের পাচালী’ উপন্যাসের পরিচয় দাও। 

উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ (১৯২৯)। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায়। গ্রন্থকারে প্রকাশিত হয় সজনীকান্ত দাসের রঞ্জন প্রকাশনালয়, কলকাতা থেকে। ভাগলপুরে চাকরি করার সময় তিনি এ উপন্যাস রচনা করেন। এ উপন্যাসের পটভূমিতে আছে বাংলাদেশের গ্রাম ও পরিচিত মানুষের জীবন। বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু ও অক্রুর সংবাদ নামে তিনটি ভাগে বিভক্ত এ উপন্যাস। ‘পথের পাচালী’ উপন্যাসের প্রধান অংশই হলো একটি শিশুর চৈতন্যের জাগরণ, প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে শিশুর বেড়ে ওঠা। মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে তাদের পরিচয়। বিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে অপু, অপুর বাবা হরিহর রায়, মা সর্বজয়া, বোন দুর্গা ও দূর সম্পর্কের পিসি ইন্দির ঠাকরুন নিয়ে তাদের জীবন যাত্রার কথাই এই উপন্যাসের মূখ্য বিষয়। দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করে তাদের দিন কাটে। অপু ও দুর্গার মধ্যে খুবই ভাব। তারা ককনো চুপচাপ গাছতলায় বসে থাকে, আার কখনো মিঠাইওয়ালার পিছে পিছে ছোটে, কখনো ভ্রাম্যমান বায়োস্কোপ দেখে। একদিন তারা বাড়িতে না বলে ট্রেন দেখার জন্য অনেক দূরে চলে যায়। ভাল কাজের আশায় অপুর বাবা শহরে গেলে তাদের অভাব বেড়ে যায়। এর মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে দুর্গার জ্বর হয় এবং চিকিৎসার অভাবে দুর্গা মারা যায়। পরে হরিহর বাড়ি ফিরে এলে জীবিকার সন্ধানে পৈতৃক ভিটা ছেড়ে কাশীর পথে যাত্রা শুরু করে। কাশীতে গিয়ে বসবাস শুরু করার কিছুদিন পর হরিহর মারা গেলে মা সর্বজয়া অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু অপুর মন পড়ে থাকে নিশ্চিন্দিপুরে। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: অপুর, দুর্গা, সর্বজয়া, ইন্দির ঠাকরুন। এ উপন্যাসটি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘এই বইখানিতে পেয়েছি যথার্থ গল্পের স্বাদ। এ থেকে শিক্ষা হয়নি কিছুই। দেখা হয়েছে অনেক যা পূর্বে এমন করে দেখা দেখিনি।’ 

 

প্রশ্ন: ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাসের পরিচয় দাও। 

উত্তর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের করুণ ফল ১৩৫০ বঙ্গাব্দের দুর্ভিক্ষ। আর এ দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাস কিভাবে শান্ত প্রকৃতির আবহমান গ্রাম বাংলায় প্রভাব বিস্তার করে, তারই নিখুঁত চিত্রের বর্ণনা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অশনি সংকেত’ (১৯৫৯) উপন্যাস। উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ১৯৪৪-৪৬ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মাসিক ‘মাতৃভূমি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের গ্রাম ব্যারাকপুর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এবং বনগ্রাম মহকুমা শহর এ উপন্যাসের ক্ষেত্রভূমি। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বাঙালি কৃষিজীবীরা কেমন হন্য হয়ে উঠেছিল, তারই প্রামাণ্য চিত্র এ উপন্যাস। ‘অনঙ্গবৌ’ নামের চরিত্রটি বাঙালির প্রতিদিনের সুখ-দুঃখময় সংসারেও খুঁজে পাওয়া যায়। 

আরণ্য জনপদে (প্রবন্ধ) আবদুস সাত্তার
আরণ্য সংস্কৃতি (প্রবন্ধ) আবদুস সাত্তার 
আরণ্যক (উপন্যাস) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য রচনাবলি কী কী?

উত্তর: ছোটগল্প: ‘মেঘমাল্লার’ (১৯৩১), ‘মৌরীফুল’ (১৯৩২), ‘যাত্রাবদল’ (১৯৩৪), ‘কিন্নির দল’ (১৯৩৮), পুঁইমাচা’। 

আত্মজীবনী: ‘তৃণাঙ্কুর’ (১৯৪৩) 

ভ্রমণকাহিনি: ‘অভিযাত্রিক’, ‘বনে পাহাড়ে’, ‘হে অরণ্য কথা কও’।

 

প্রশ্ন: ‘গোরক্ষিণী সভা’ কী?

উত্তর: ১৮৯৩ সালে ভারতে গরু রক্ষার জন্য যে মিশন শুরু হয় তাকে ‘গোরক্ষিণী সভা’ বলে। এ সভার প্রতিষ্ঠাতা মহারাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক নেতা গঙ্গাধর তিলক। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গোরক্ষিণী সভা’র ভ্রাম্যমান প্রচারক হিসেবে বাংলা, আসাম, ত্রিপুরা ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে এর পক্ষে জনমত তৈরি করেন।

 

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category