November 29, 2023, 12:32 pm
সমগ্র বাংলা ডেস্কঃ ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কোনো ধরনের মানি লন্ডারিং করেছে কি না, তা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল ছয় মাস ধরে তদন্ত করছে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪ জুলাই দুদককে এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক বলেন, ইভ্যালির বিষয়ে ইতিপূর্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর দুদকের মানি লন্ডারিং অনুবিভাগের দুই সদস্যের টিমের মাধ্যমে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়।
আরো খবর জানতেঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ ই-কমার্স মার্কেট-প্লেস ইভ্যালি
তদন্ত দলটির নেতৃত্বে আছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। অপর সদস্য হলেন সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক শিহাব সালাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য কিনেছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এসব তথ্য উল্লেখ করে দুদককে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ইভ্যালির কোনো আর্থিক অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়।
দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘সরকারি যেকোনো সংস্থার অনুসন্ধান ও তদন্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এটুকু বলতে পারি যে আমরা কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি, বিদেশে পাচারও করিনি। টেকসই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর স্বার্থে আমরা ব্যবসার উন্নয়নে খরচ করেছি। পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করার জন্য আমরা দিনরাত কাজ করছি।’