1. mahfujpanjeree@gmail.com : Mahfuzur-Rahman :
  2. admin@samagrabangla.com : main-admin :
  3. mahmudursir@gmail.com : samagra :

ইউনিক আইডি বনাম জন্ম নিবন্ধন সনদ!

  • Update Time : রবিবার, মে ২৩, ২০২১
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics- ব্যানবেইস) আইইআইএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাবে ইউনিক আইডি, থাকছে ‘নট এ বিলিভার’ অপশন। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ডেটাবেস প্রস্তুত করে তাদের ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
ইউনিক আইডিতে ধর্মীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রে অপশন ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য উল্লেখ করার পাশাপাশি ‘Not a Believer’ ও ‘Refuse to Disclose’’ অপশন রাখা হয়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফরমের প্রথম পৃষ্ঠার একটি অনুলিপিতে দেখা গেছে, এতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক বিভিন্ন তথ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট ঘর রয়েছে।

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিনা, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকটি ঘরে উল্লেখ করা ‘অপশন’ ফেসবুকে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফরমে জেন্ডারের ক্ষেত্রে পুরুষ/মহিলার পাশাপাশি ‘অন্যান্য’ অপশনও রাখা হয়েছে। ধর্মের ক্ষেত্রে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাড়াও ‘নট আ বিলিভার’, ‘রিফিউজ টু ডিসক্লোজ’ ও ‘অন্যান্য’ অপশন রয়েছে।

বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিবাহবিচ্ছেদের ঘর রয়েছে।

জানা গেছে, ইউনিক আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর যুক্ত থাকবে। পরে ডেটাবেসে যুক্ত এসব তথ্য ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না।
এ জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ কারনেই ইউনিয়ন পরিষদে এতো চাপ।
এব্যাপারে ইউনিয় সচিব আব্দুস শুকুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান- বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথা শিক্ষকদের ধারণা সব নিবন্ধন হয়তো ইউনিয়ন অফিস বা পৌর অফিসে প্রস্তুত আছে। জনগণ চাইলেই ইউনিয়ন পরিষদ দিয়ে দিবে। আমার জানামতে বাংলাদেশের অধিকাংশ পিতা-মাতার আইডি/ স্মার্ট কার্ডের সাথে জন্ম নিবন্ধনের অমিল আছে।
আবার অনেক অভিভাবকের ধারণা তাদের ভোটার আইডি, স্মার্ট কার্ড যেহেতু আছে, তো জন্ম সনদ নিষ্প্রয়োজন।তবে এমন ধারণা রাখা ভূল।
বর্তমান জন্ম নিবন্ধন ডাটাবেজ সিস্টেম অনুসারে আগে পিতা-মাতার নিবন্ধন দিতে হয়। তার পর সন্তানাদির নিবন্ধন। অর্থাৎ তথ্য ফরমে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার আবশ্যিক ভাবে ব্যবহার করার পর বাচ্চার নিবন্ধন সাবমিট হবে। নয়তো কোনো ভাবেই বাচ্চার নিবন্ধন সাবমিট হবে না।
আর জন্ম নিবন্ধন সাবমিট হাওয়ার সাথে সাথে পিতা-মাতার মোবাইল নাম্বারে ভেরিফিকেশনের জন্য SMS পাঠানো হয়। তারপর অফিসিয়াল আরও প্রয়োজনীয় কাজ শেষে যার যার নিবন্ধন হাতে পাবে।
বর্তমানে অনেকেই তাড়াহুড়া করে জন্ম নিবন্ধন নিচ্ছেন। আর এ তাড়াহুড়া মাঝে জন্ম সনদে ভূল হওয়া স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় কোনো অক্ষরের ভুল হলে রেজিস্টার অফিস অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডুকুমেন্টের মাধ্যমে শুধু আবেদন করে দেয়া যাবে মাত্র।
এরপর ব্যাংক চালান, টেক্স রশিদ মাধ্যমে যথাযত ডুকুমেন্ট দিয়ে Higher Authority Person ডিডিএলজি/ইউএনও অফিস যতক্ষন না Approved দিচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চিল্লাচিল্লি করে কোন লাভ হবে না।
আর বর্তমান ২,৩ দিন ধরে সার্ভার ট্রাফিকের ফলে জন্মনিবন্ধন সার্ভারের যে অবস্থা হয়েছে। মনে হয় সার্ভারকে (আই সি ইউ তে) অক্সিজেন লাগিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তাই জন্ম নিবন্ধন সিস্টেমের জন্য আর সময় দেওয়া প্রয়োজন।

তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

More News Of This Category