February 9, 2023, 8:18 am
আজ রোববার ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে তাঁর এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে। সে বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটা আমার মোটামুটি হিসাব।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন এবং বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয়ই বা বৃদ্ধি পাবে কিসের ভিত্তিতে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি (২০২১–২২) অর্থবছরে জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আর জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন (৪৫ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার।’
অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারকে মোট জনগোষ্ঠী দিয়ে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৫ ডলার হয়। এটা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের হিসাব। তাঁর মতে, আইএমএফ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলেছে। সংস্থাটি সব সময় রক্ষণশীলভাবে প্রক্ষেপণ করে। সব দেশের জন্যই রক্ষণশীল তারা। তবে অতীতের মতো অর্থমন্ত্রীর বিশ্বাস, তিনি যা বলছেন, সেটাই অর্জন করতে পারবেন।
তবে নতুন বিধিমালায় সবাইকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁরা রপ্তানি করেন এবং নিজের ব্যাংক হিসাবে রপ্তানির বিপরীতে রিটেনশন মানি (জামানতের অর্থ) যদি থাকে, তাহলে সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থ তাঁরা বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সেই ২০ শতাংশের হিসাবটি হবে এ রকম—মোট সম্পদ থেকে দায় বাদ দিলে যে নিট সম্পদ থাকবে, তার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ টাকা বিদেশে বিনিয়োগ করা যাবে।
এবার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ অন্য জিনিস। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অনেক দেশই আছে। সব দেশই তাদের বৈদেশিক মুদ্রার হারটা আস্তে আস্তে অনুমোদন করে। বিদেশে বিনিয়োগের জন্য এটা করা হয়। আমরাও সেই পথে যাচ্ছি।’